রাষ্ট্রীয়ভাবে ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের প্রস্তাব

প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করার প্রস্তাব দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। মন্ত্রণালয়ও সংসদীয় কমিটির এই প্রস্তাবে একমত হয়েছে। এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তোলা হবে।

জাতীয় সংসদ ভবনে আজ রোববার অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার নামের আগে ‘বীর’ বিশেষণটি যুক্ত করতে একটি সরকারি পরিপত্র জারির সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খান প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান।

শাজাহান খান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি ঘোষণা ছাড়া এখনো ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করা হয়। এটি সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন। একসময় যখন মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না, তখনো যাতে তাঁদের স্মরণ করা হয়, সে কারণে মুক্তিযোদ্ধা দিবস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরেই মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ৮ হাজার টাকা বাড়িয়ে মোট ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কমিটি বলেছে, চলতি বছর পুরোপুরি বাড়ানো সম্ভব না হলে এই অর্থবছরে ১৫ হাজার এবং আগামী অর্থবছর থেকে ২০ হাজার টাকা করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এ ছাড়া বৈঠকে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেমন—ভাষা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ এবং এসব ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে গবেষণার ব্যবস্থা করা হবে।

ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হওয়ার ব্যবস্থা করার চিন্তা

আজ বৈঠকে কমিটির ১০ সদস্যের মধ্যে ৩ জন অংশ নেন। বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যরা বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিতে পারেন কি না বা এ ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তা করছে কমিটি। এই কমিটির সভাপতি শাজাহান খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কমিটিতে কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য আছেন। বয়সের কারণে এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় কেউ কেউ বৈঠকে অংশ নিতে পারেন না। ভার্চ্যুয়ালি তাঁরা বৈঠকে অংশ নিতে পারেন। এ জন্য স্পিকারের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তাঁরা এ–সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব স্পিকারকে দেবেন।
শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও কাজী ফিরোজ রশীদ অংশ নেন।