রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রয়োজন

  • রাজনীতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া রহিত হলে নানা ধরনের উগ্রবাদী জঙ্গীগোষ্ঠীর উত্থান ঘটবে। গণতন্ত্র ছাড়া এই গতিমুখ বদলানোর আর কোনো পথ নেই।

  • সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। ফলে নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের যে দায়িত্ব, তা তারা পালন করছে না।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী। ১৯৯০-এর দশকে তিনি ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি কথা বলেছেন বর্তমান রাজনৈতিক সংকট এবং এর উত্তরণ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান।
জোনায়েদ সাকি

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মূল সংকট কী?

জোনায়েদ সাকি: রাজনীতিকে প্রান্তিক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। রাজনীতি না থাকলে সামাজিক দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি বেড়ে যায়, যেটা এখন সমাজের গভীরে বিস্তৃত হয়েছে। উগ্র ধর্মীয় চিন্তাসহ নানা ধরনের উগ্রতার প্রসার ঘটে। অথচ একটি আধুনিক রাষ্ট্রে রাজনীতিই চালিকা শক্তি হওয়া উচিত। সরকারের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতা নিয়ে বিরোধী দল কথা বলবে। সরকার নিজেকে শোধরাবে। না শোধরালে বিরোধী দল আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি মানতে বাধ্য করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। সেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নেই বলেই সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।

প্রশ্ন :

এই পরিস্থিতির জন্য আপনি কাদের দায়ী করবেন?

জোনায়েদ সাকি: এর জন্য বর্তমান ক্ষমতাসীনেরাই দায়ী। এই সরকার ক্ষমতায় আছে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে। তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। ফলে নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের যে দায়িত্ব, তা তারা পালন করছে না। ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের মতো আচরণ করছে। অন্যদিকে, সরকার গণমানুষের ন্যায্য দাবিকেও তোয়াক্কা করছে না।

প্রশ্ন :

নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়েছে। তারপরও আপনারা এই অর্থহীন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন?

জোনায়েদ সাকি: ২০১৪ সালের আগে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুরো বাতিল করে দিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করল। বিদ্যমান শাসনব্যবস্থার যে ক্ষমতাকাঠামো, তাতে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বয়কট করেছিল। সরকার ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিজেদের জয়ী করে নির্বাচনের আগেই সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করল। আমরাসহ বিরোধী দলগুলোর দাবি ছিল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। সরকার সে দাবি মানেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সব দলের সঙ্গে আলোচনা করল। প্রধানমন্ত্রী নিজে বললেন, ‘আমার প্রতি আস্থা রাখুন।’ আসলে ওই আলোচনা ছিল সরকারের একটি কৌশল। আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সব দল নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সরকার আসল চেহারা বের করল। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট ছাড়াই জয় ছিনিয়ে নিল তারা। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র একটি দলের হয়ে নির্বাচন করল। এটি ছিল অদৃষ্টপূর্ব, বিশেষত সব দলের অংশগ্রহণের পর। আমাদের ইতিহাসে এ রকম ঘটনা আর ঘটেনি। নির্বাচন এখন তামাশায় পরিণত হয়েছে।

প্রশ্ন :

সরকার আপনাদের দাবি না মানলে কী করবেন?

জোনায়েদ সাকি: সরকার যদি দাবি না মেনে নেয়, তাকেও গণ-অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হতে হবে। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসন দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও একটা নতুন অভিজ্ঞতা। সরকার কেবল রাজনৈতিক দলগুলোকে নয়, যাদের জন্য রাজনীতি করে, সেই জনগণকেও ত্রাসের মধ্যে রেখেছে। জনসম্মতিহীন সরকার সব সময়েই জন–উত্থানের ভয়ে থাকে। নিজেরা ভয়ে থাকে বলেই সরকার ভয় দেখিয়ে শাসন টিকিয়ে রাখতে চায়। রাজনীতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া রহিত হলে নানা ধরনের উগ্রবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান ঘটবে। গণতন্ত্র ছাড়া এই গতিমুখ বদলানোর আর কোনো পথ নেই। জনগণের সংঘবদ্ধ প্রতিবাদের মুখে সরকারের দমন-পীড়ন টিকবে না।

প্রশ্ন :

আপনি বলছেন, সরকার জনগণের দাবি উপেক্ষা করছে। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবি তো সরকার মেনে নিল।

জোনায়েদ সাকি: সরকার এই কাজগুলো করেছে ভয় থেকে। আন্দোলন যখন ব্যাপক জন–উত্থানের সম্ভাবনায় পৌঁছায়, তখন আন্দোলন থামানোর জন্য দাবিদাওয়া মেনে নেয়; আবার আন্দোলনকারীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনও করে, যাতে ভয় কার্যকর থাকে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা কিন্তু কোটা বাতিলের দাবি করেননি। তাঁরা সংস্কার চেয়েছিলেন। নিরাপদ সড়কের আইনটিও এমনভাবে করা হলো, যেন চালকেরাই দায়ী। আসলে সড়ক পরিবহন খাতে যে মাফিয়া চক্র, সেখানে সরকার হাত দেয়নি। আইন বাস্তবায়নও করেনি। আন্দোলন বন্ধ করতে নানান চালাকি করেছে সরকার।

প্রশ্ন :

আপনারা যাকে কারচুপির নির্বাচন বলছেন, সেই নির্বাচন করেই তো সরকার নির্বিঘ্নে প্রায় দুই বছর কাটিয়ে দিল?

জোনায়েদ সাকি: বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির কাছ থেকে যে প্রবল প্রতিরোধ থাকার কথা ছিল, সেটি নেই বলে সরকার টিকে আছে। তারা বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। অতীতে আইয়ুব-এরশাদও করেছেন। ইতিহাসের শিক্ষা, এই অবস্থা কখনোই চিরস্থায়ী হবে না।

প্রশ্ন :

কীভাবে বদলাবে?

জোনায়েদ সাকি: আমরা বলেছি, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর দরকার এবং তা সম্ভব একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। সংকট উত্তরণে জাতীয় সমঝোতা দরকার। নতুন রাজনৈতিক-সামাজিক চুক্তি দরকার। এ ক্ষেত্রে আমাদের দল থেকে একটি প্রস্তাব দিয়েছি, অন্তত আগামী তিনটি জাতীয় নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিতে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে হোক। সেই নির্বাচনে যাঁরাই ক্ষমতায় আসবেন, তাঁরা ক্ষমতায় ভারসাম্য তৈরি করবেন। সংবিধানের ক্ষমতাকাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা থাকবে না। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক কমিশন গঠন করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতি চালু করতে হবে। শাসনব্যবস্থার এই পরিবর্তন ছাড়া দেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থার লুটেরা এবং গণবিরোধী চেহারার বদল ঘটানো যাবে না।

প্রশ্ন :

মানুষ না বদলালে নতুন আইন করে সুফল পাওয়া যাবে কি?

জোনায়েদ সাকি: ব্যক্তিবিশেষের সদিচ্ছার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাকাঠামোর পুনর্বিন্যাস। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে গিয়েও ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। তাঁর কথায় মনে হয়েছিল, সেখানে গৃহযুদ্ধ লেগে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে পরাজয় মানতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়ে যত প্রশ্নই থাকুক, ক্ষমতাকাঠামোর এই প্রাতিষ্ঠানিক দিক সার দুনিয়ার জন্যই একটা বড় অভিজ্ঞতা। এ কারণেই আমরা ক্ষমতাকাঠামোর রূপান্তর এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জোরদার করার কথা বলছি। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে, যাঁরা দলের চেয়ে জাতীয় কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দেবেন।

প্রশ্ন :

আপনাদের দল বহুদিন ধরে নতুন ধারা তৈরির কথা বলছে, কিন্তু জনগণের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি করতে পারছে না। যেমনটি পেরেছিল পাকিস্তান আমলের শুরুতে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ আমলে জাসদ।

জোনায়েদ সাকি: রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দল ও আন্দোলন বিকশিত হয়। আপনি যে সময়ের কথা বলেছেন, তখন রাজনীতি তুলনামূলকভাবে অবাধ ছিল। সরকার এখন রাজনীতিটাই রুদ্ধ করে দিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে যেভাবে তারা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে, এটা অতীতে কখনো হয়নি। তারপরও আমরা যেসব দাবি নিয়ে কথা বলছি, মাঠে নামছি, তার প্রতি গণমানুষের ব্যাপক সমর্থন আছে। আমরা মনে করি, পরিস্থিতি বদলে যাবে।

প্রশ্ন :

বাম রাজনীতির যে আদর্শ, সামাজিক ন্যায্যতা ও শোষণমুক্তি, তার পক্ষে বৃহত্তর জনগণের সমর্থন আছে। তাহলে প্রচলিত বাম দলগুলো কেন ব্যর্থ হলো?

জোনায়েদ সাকি: আমরা মনে করি, অন্যায়-অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে মানুষের মুক্তির লড়াই ব্যর্থ হয়নি; দল বা ব্যক্তিবিশেষ ব্যর্থ হতে পারেন। লড়াই সংগ্রামের ঐতিহাসিক নানা পর্বে তাদের মধ্যে দোদুল্যমানতা কাজ করেছে। যেকোনো রাজনৈতিক শক্তির জন্য সাফল্য সৃষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঐতিহাসিক মুহূর্তে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে বাম শক্তি সব সময় সফল হয়নি। যেমন পাকিস্তান আমলে জনগণের প্রধান দাবি ছিল পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্তি। যদিও মাওলানা ভাসানী সবার আগে পাকিস্তানিদের আসসালামু আলাইকুম বলেছিলেন। কিন্তু বামপন্থী দলগুলো সেটাকে রাজনীতিতে প্রধান করে সামনে আনতে পারেনি। নতুন রাষ্ট্র পত্তনের দাবি নিয়ে এলেন অন্যরা।

প্রচলিত বাম দলগুলোর অনেকের সঙ্গে আমাদের চিন্তা ও কাজের পার্থক্য আছে। আমরা মনে করি, যত দ্রুত সম্ভব মুখ্য রাজনৈতিক প্রশ্নকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। গণমানুষের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। আমরা সব গণতান্ত্রিক ও সামাজিক শক্তিকে নিয়ে এগোতে চাই। জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ঘটাতে চাই।

প্রশ্ন :

বাম গণতান্ত্রিক জোটের ভঙ্গুর দশা কেন? কেন তারা আন্দোলন করতে পারছে না?

জোনায়েদ সাকি: বাম গণতান্ত্রিক জোট তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করছে। করোনাকালে কর্তব্য নির্ধারণ করতে জোটের পক্ষ থেকে জাতীয় সংলাপ আহ্বান করা হয়েছিল। সেই সংলাপে বিএনপিসহ অনেক দলই এসেছিল। আওয়ামী লীগ আসেনি। আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি, দাবি তুলে ধরেছি।

জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে, জাতীয় সম্পদ রক্ষাকারী পাটশ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করছি। সেই সঙ্গে আমরা সমাজের অন্যান্য শক্তিকেও একত্র করে আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়েছি। বলেছি, রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটাতে না পারলে সামনে সমূহ বিপদ।

প্রশ্ন :

আপনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক আয়োজনে যাওয়ায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের মধ্যে বিতর্ক হয়েছিল।

জোনায়েদ সাকি: আপনি যে আয়োজনের কথা বলেছেন, সেটি নির্বাচনের আগে। তখনো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়নি। ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে সমাবেশ ডেকেছিলেন। সমাজে যখন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়, তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। আমরা দলগতভাবে সেখানে গিয়েছি। জোটে ভিন্নমত ছিল, তবে এ নিয়ে জোটে কোনো সমস্যা হয়নি।

প্রশ্ন :

সরকারের দাবি, করোনা মোকাবিলায় তারা শতভাগ সফল।

জোনায়েদ সাকি: করোনা নিয়ে সরকার তামাশা করছে। সরকার প্রথম থেকে শৈথিল্য, অক্ষমতা দেখিয়ে আসছে। সবখানে পরিকল্পনাহীনতা ছিল। মানুষকে হার্ড ইমিউনিটির দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে অনেক অঘটন ও কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। যখন সরকারের দুর্নীতি, অপশাসন নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ, তখন তারা মনে করছে, করোনার দোহাই দিয়ে রক্ষা পাবে। করোনা পরীক্ষার অবস্থা নাজুক। সরকার কার্যকর লকডাউন করতে পারেনি। তবে মাস্ক ব্যবহারের প্রচারণা ভালো।

প্রশ্ন :

আপনি ছাত্র-তরুণদের ওপর ভরসা রাখছেন। কিন্তু করোনার কারণে আট–নয় মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।

জোনায়েদ সাকি: সরকারের পরিকল্পনাহীনতার কারণে শিক্ষা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। যেখানে সরকার সব প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যুক্তি নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখা সহজ ছিল। অনলাইনে যে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা থেকেও ছাত্রদের বৃহত্তর অংশ বঞ্চিত। গ্রাম ও শহরের মধ্যে এবং ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য আরও বাড়ছে। অটো প্রমোশন দেওয়ায় শিক্ষাব্যবস্থায় মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হবে। এসএসসি ও এইচএসসি অটো প্রমোশন পাওয়া শিক্ষার্থীদের সারা জীবন এর ফল ভোগ করতে হবে।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

জোনায়েদ সাকি: আপনাকেও ধন্যবাদ।