রায়টি ছিল হাতে লেখা

১০ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার হাতের লেখা রায় পড়ে শোনান চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান। গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিনি ছুটিতে ছিলেন। এই তিন দিন তিনি নিজ খাসকামরায় গড়ে ১০ ঘণ্টা করে রায় লেখা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। ওই সময় তাঁর কক্ষে সহকর্মী বিচারক কিংবা বেঞ্চ সহকারীসহ সব ধরনের লোকের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
আদালত সূত্র জানায়, বিচারক এস এম মজিবুর রহমান রায় লেখার জন্য গত সোমবার থেকে তিন দিনের ছুটি নেন। ছুটির মধ্যে তিনি অন্যদিনের মতো সকালে নিজ কামরায় ঢুকে ভেতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দিতেন। এরপর নিজ হাতে রায় লিখতেন। বুধবার পর্যন্ত চলে তাঁর রায় লেখার কাজ। তিন দিনই রাত নয়টা থেকে ১০টার মধ্যে তিনি খাসকামরা ত্যাগ করে সরকারি বাসভবনে চলে যেতেন। বাসায় ফেরার আগে তিনি লিখিত রায় খাসকামরায় তালাবদ্ধ করে চাবি নিয়ে ফিরতেন।
আদালতের ওই সূত্র আরও জানায়, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় আগেভাগে ফাঁসের ঘটনায় চট্টগ্রামের বিচারক মজিবুর রহমান বেশ সতর্ক ছিলেন। এ কারণে তিনি কাউকে তাঁর খাসকামরায় প্রবেশ করতে দেননি। এমনকি মামলার আদেশ নিয়ে আগাম আলাপ হতে পারে—এই আশঙ্কায় আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি।
গতকালও বিচারক সকাল সোয়া ১০টায় সরকারি বাসভবন থেকে আদালত ভবনের খাসকামরায় প্রবেশ করেন। দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে তিনি খাসকামরা থেকে এজলাসে ওঠেন। এরপর রায় পড়া শুরু করেন তিনি। বেলা ১২টা ৩৭ মিনিটে এজলাস থেকে নেমে খাসকামরায় চলে যান। গতকালও খাসকামরায় তিনি কাউকে প্রবেশ করার অনুমতি না দিয়ে বেলা সোয়া একটার দিকে সরকারি বাসভবনে চলে যান।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার থেকে স্যার (বিচারক) তাঁর সহকর্মী ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেন। তাই তাঁর খাসকামরায় কেউ যেতে পারেননি।