রিং আইডির শরিফ-আইরিনকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেবে সিআইডি

রিং আইডির মালিক শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলাম
সংগৃহীত

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রিং আইডির মালিক কানাডা প্রবাসী শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেবে।

আজ সোমবার সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক কামরুল আহসান। সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ২শ কোটি টাকা সিআইডির অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করেছে। তবে রিং আইডির হাতিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ আরও অনেক। সেই অর্থ কোথায় জমা আছে তা এখনো অজানা।

উল্লেখ্য শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলাম এর আগেও বিটিআরসির অভিযোগে ২০১৬ সালে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। মাস খানিক পরই বেরিয়ে আসেন।

গতকাল রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকার বড়গ্রাম এলাকা থেকে রিং আইডির একজন অন্যতম এজেন্ট মো. রেদোয়ান রহমানকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

সিআইডি র কর্মকর্তারা বলেন, রিং আইডি কয়েক ধাপে জালিয়াতি করছিল। বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন রিং আইডি প্রচার করত। ওই বিজ্ঞাপন দেখলে গ্রাহকেরা টাকা পাবেন এই লোভ দেখিয়েছিলেন তারা। প্রথম দিকে টাকা দিলেও পরে আর গ্রাহকেরা টাকা পাননি।

গ্রেপ্তার আরও তিন প্রতিষ্ঠানের সাতজন :

সিআইডি গতকাল অনলাইন টিকেটিং এজেন্সি টুয়েন্টি ফোর টিকিট ডটকমের বোর্ড অফ ডিরেক্টরের সদস্য মিজানুর রহমান সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার সদরঘাট থেকে।

অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন অপর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, থলে ডট কম ও উই কুম ডট কমের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। কম দামে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, বৈদ্যুতিক ফ্যানসহ বিভিন্ন পণ্যে ছাড়ে বিক্রির প্রলোভন দেখায় এরা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সোহেল হোসেন, ডিজিটাল কমিউনিকেশন অফিসার মো. তারেক মাহমুদ, বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন ও কলসেন্টার কর্মকর্তা মুন্না পারভেজ, ব্যবস্থাপক মো. মাসুম হাসান।

সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন, গ্রেপ্তার ৩

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, সেনাবাহিনী ও সিআইডিতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. আবদুস সাত্তার, মো. আলী হোসেন ও শাহাদত হোসেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, ভুয়া নিয়োগপত্র নিয়ে দুজন সেনাসদর দপ্তরে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়েছিল। তখনই প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদের ভুয়া নিয়োগপত্র চারটি, ভুয়া টোকেন স্লিপ চারটি, পাঁচটি মোবাইল সেট, কয়েকজন শিক্ষকের চাকরির এমপিও ভুক্তির আবেদন।

গত ১০/১২ বছর ধরে তারা এই প্রতারণার কাজে যুক্ত। তবে কখনই গ্রেপ্তার হয়নি।