রূপপুরে আট মাস আগেই শেষ রিঅ্যাক্টর ভবনের কাজ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
ফাইল ছবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে সহায়ক রিঅ্যাক্টর ভবনের কাজ শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আট মাস আগেই। এই ভবন ‘নিউক্লিয়ার আইল্যান্ড’ বা পরমাণু দ্বীপের অংশ হিসেবে পরিচিত। নিয়ন্ত্রণযন্ত্রসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র এখানে স্থাপিত হবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রসাটম) পক্ষ থেকে আজ শনিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনার মধ্যেও কাজের গতি কমেনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণসামগ্রী ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। কাজের গতি বাড়িয়ে নির্ধারিত সময়ের ২৪১ দিন আগে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে রূপপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পরমাণু শক্তি কমিশন। আর রাশিয়ার পরমাণু শক্তি করপোরেশন রসাটমের নেতৃত্বে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিকিমিত-এতমস্ত্রয়। প্রতি মাসে ১ হাজার ঘনমিটার কংক্রিট ঢালাইয়ের কথা থাকলেও ১ হাজার ৬০০ ঘনমিটার ঢালাই করেছে তারা।

রসাটমের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আলেক্সি দেইরি এ প্রসঙ্গে বলেন, যে গতিতে কাজ হয়েছে, তাতে রূপপুর প্রকল্পের নির্মাণকর্মীদের সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।

কোভিড-১৯ অতিমারি ও জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রূপপুর প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সময়ের আগে কাজ শেষ হওয়ায় খরচও কমেছে। দক্ষ কর্মীদের অন্য কাজে ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

রূপপুর প্রকল্পে তৃতীয় প্রজন্মের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি রিঅ্যাক্টর বসানো হচ্ছে। এ থেকে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক সব ধরনের নিরাপত্তা শর্ত মেনেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।