রেমিট্যান্স প্রবাহ আর প্রবাসীদের বাস্তবতায় মিল নেই

তাসনীম সিদ্দিকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম আলোর জন্য তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক ওয়াসিফ

  • করোনার সময়ে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।

  • রিজার্ভ আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে।

  • করোনার সময় হুন্ডির কারবার একরকম বন্ধ ছিল।

  • টাকা এসেছে ব্যাংকিং চ্যানেলে।

  • অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবার ধারদেনায় চলেছে।

  • দেশে-বিদেশে অভিবাসীদের সন্দেহের চোখে দেখা হয়েছে।

  • মধ্যপ্রাচ্যের সরকারগুলো সব চুক্তি ভঙ্গ করে অনেককে ফেরত পাঠায়।

  • সরকার ৪ শতাংশ সুদে অভিবাসীদের ঋণ দিচ্ছে, অথচ গার্মেন্টস মালিকদের দিয়েছে ২ শতাংশ সুদে।

  • চার-পাঁচ শর বেশি অভিবাসী ঋণ নেননি।

  • ঋণের সঙ্গে ব্যবসা-পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও সুযোগের বন্দোবস্ত দেওয়া দরকার।

তাসনীম সিদ্দিকী

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: বিশ্বব্যাংক বলেছিল, ২০২০ সালের রেমিট্যান্স আগের বছরের চেয়ে এক-চতুর্থাংশ কমে যাবে, রেমিট্যান্স বরং আরও বেড়ে গেল। কী ঘটল?

তাসনীম সিদ্দিকী: তারা বলেছিল, ২০২০ সালে রেমিট্যান্স আসবে ১৪ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু বাস্তবে এল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। এটা আগের বছরের চেয়ে ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে ভালোভাবে করোনায় আক্রান্ত অর্থনীতি সামলে নিতে পেরেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশে ব্যাংকের মোট রিজার্ভ দেখাচ্ছে ৪২ দশমিক ৯৭ ডলার। আগের বছরে এটি ছিল ৩২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। তার মানে, রিজার্ভ আগের চেয়ে ৩১ দশমিক ৪৯ শতাংশ শক্তিশালী হয়েছে। জাতীয় এই পরিসংখ্যানের তথ্য রামরু পরিচালিত পারিবারিক জরিপের চিত্রের সঙ্গে মেলে না। অনেকে এই সময়ে কোনো রেমিট্যান্স পায়নি বলে খুব কষ্টে ছিল বলে জানিয়েছেন। যাঁদের সংসারের খরচ ছিল গড়ে ১৭ হাজার টাকা, তাঁরা গড়ে ৭ হাজার ৩০০ টাকায় তা চালিয়েছেন। প্রায় ৭০ ভাগ অভিবাসী পুরুষ কর্মীর পরিবার ধারদেনায় চলেছে। নারী অভিবাসী কর্মীনির্ভর পরিবারগুলোর মধ্যে ধার করার হার এক-তৃতীয়াংশ। রেমিট্যান্স যদি বেশি এসেই থাকে, তাহলে অভিবাসীদের পরিবারগুলো কেন করোনার সামনে দুর্বল হয়ে পড়ল? কেন তাদের ঋণ করতে হলো? তাদের খাবার কমে গেল। বৈদেশিক সঞ্চয়ের পরিমাণ আর প্রবাসীদের বাস্তবতার তথ্যে মিল নেই।

প্রশ্ন :

তাহলে বাড়তি টাকাটা এল কোত্থেকে?

তাসনীম সিদ্দিকী: সেটাই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। অভিবাসন খাতে গত ৭-৮ বছরে প্রবৃদ্ধির হার যেখানে ১৩-১৪ শতাংশ, সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ভাগে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধির হার ৩৮ শতাংশ! এই সময়ে প্রবাস গমনের হার কম, বিদেশে অনেকে বেতন পাননি, অনেকে খালি হাতে চলে এসেছেন, তখন এটা হয় কী করে? তার মানে এই টাকা অন্যভাবে এসেছে। সরকার গত বাজেটে প্রবাসীদের জন্য প্রণোদনা বাবদ ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল। কেউ ১০০ টাকা সরকারি চ্যানেলে পাঠালে ২ টাকা ফেরত পাবে। একদিকে সরকারের দেওয়া এই সুবিধা, অন্যদিকে করোনার কারণে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন বন্ধ থাকায় প্রায় সব টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে এসেছে বলে তা সরকারের হিসাবে যোগ হয়েছে। এ ছাড়া করোনার কারণে ওই সময়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল যে বিদেশে আটকে পড়ার চেয়ে কি দেশে ফেরা ভালো? ফিরলে আবার যাওয়া যাবে তো? এ ভয়ে যাঁরা ফিরেছেন বা খুব শিগগির ফিরবেন বলে ভেবেছেন, তাঁরা অনেকেই বিদেশের ব্যাংকে জমানো টাকা বা অন্য কোনো সম্পদ গলিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে নিয়ে এসেছেন। করোনার জন্য একটা বড় সংখ্যার অভিবাসী দেশে ফিরে এসেছেন। এই টাকাটাও প্রবাসী আয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে।

প্রশ্ন :

হুন্ডির বিষয়টা আরেকটু ব্যাখ্যা করবেন?

তাসনীম সিদ্দিকী: দীর্ঘদিনের মাঠ গবেষণার তথ্য থেকে আমার ধারণা, বর্তমানে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ আসলে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের শিল্প। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিক খাত নিয়ে আছি। রেমিট্যান্সের প্রবাহের একটি বড় অংশ আসে হুন্ডির মাধ্যমে, হাতে হাতে। করোনার কারণে ভিসা কেনার জন্য হুন্ডি ব্যবসা চলেনি। ভিসার জন্য কোনো টাকা লাগার কথা না থাকলেও বিদেশি নিয়োগদাতারা এজেন্সিগুলোর কাছে চড়া দামে পারমিট বা ভিসা বিক্রি করে থাকেন। এজেন্সিগুলো আরও চড়া দামে সেসব অভিবাসীদের কাছে বিক্রি করে। সাধারণ বছরে একেকটি ভিসার জন্য ৫ হাজার ডলার করে দিতে হয় বলে জানিয়েছে বিবিএসের একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা। সাধারণ বছরে ৭ লাখ নতুন ভিসার দরকার হয়। কিন্তু ২০২০ সালে মাত্র ২ লাখ ১৭ হাজার জন শ্রম অভিবাসন করতে পেরেছেন। প্রায় ৪ লাখ ৮৩ হাজার ভিসা কিনতে হয়নি! এই খাত থেকেই ১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার বেঁচে গেছে, যা আনুষ্ঠানিক পথে দেশে এসেছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়নি। এ ছাড়া সোনা আমদানিতে প্রচুর টাকা হুন্ডির মাধ্যমে চলে যায়। বাংলাদেশের সোনার বড় অংশই চোরাকারবারের মাধ্যমে আনা। করোনার সময় এই কারবার একরকম বন্ধ ছিল। আমদানি-রপ্তানিতে ইনভয়েসিংসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য হুন্ডির মাধ্যমে যে বিপুল অর্থ চলে যেত, তাও স্থগিত ছিল করোনার কারণে। আমদানিই তো হয়নি ঠিকঠাক। এভাবে যে ডলার বেঁচে গেছে এবং বিদেশফেরত প্রবাসীদের সঞ্চয় থেকে এসেছে, তার বদৌলতে রিজার্ভের পরিমাণ বেশি দেখাচ্ছে। এটা কিন্তু স্বাভাবিক নয়। এসব তথ্য বলে না যে আমাদের অভিবাসন পরিস্থিতি ঠিকঠাক আছে। প্রকৃত অর্থে রেমিট্যান্স কমে গেছে কি না, এ জন্যই সরকারের তা খতিয়ে দেখা দরকার।

প্রশ্ন :

বাড়তি টাকাগুলো এসেছে কীভাবে?

তাসনীম সিদ্দিকী: ব্যাংকিং চ্যানেলে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে (২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ), এরপরে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক (১১ দশমিক ৩০ শতাংশ)। এরপর ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ, সোনালী ব্যাংক ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং জনতা ব্যাংক ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। অন্য সময়ের তুলনায় ব্যাংকিং চ্যানেল দিয়ে এ সময়ে বেশি টাকা আসায় ব্যাংকব্যবস্থাও করোনাজনিত সংকট মোকাবিলায় এই অর্থ ব্যবহার করতে পেরেছে। করোনার সময়ে রেমিট্যান্স ছিল উদ্ধারকারী হাতের মতো।

প্রশ্ন :

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসের ভুলের কারণটা কী?

তাসনীম সিদ্দিকী: রেমিট্যান্সের ব্যাখ্যায় আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার রয়েছে, সেটা হলো স্টক আর ফ্লো। স্টক হলো এ মুহূর্তে কতজন শ্রমিক অভিবাসী রয়েছেন, আর ফ্লো হচ্ছে এ বছরে কতজন গেলেন এবং কতজন ফিরলেন। স্টক আর ফ্লোর মধ্যে যে ভারসাম্য, সেটি বিবেচনায় নিতে হবে। এবার ৫ লাখের বেশি মানুষ অভিবাসী হতে পারেননি, পক্ষান্তরে অসময়ে ফিরে এসেছেন ৩ লাখ ২৬ হাজার। তারপরও একেকটি দেশে বাংলাদেশের অভিবাসীদের সংখ্যা যথেষ্ট জোরদারই ছিল। বিশ্বব্যাংক কোভিডসংক্রান্ত শ্রমিক চলাচলের বাস্তবতা ব্যাখ্যা করে এবং ১০০ বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লুর ফলাফলকে ব্যবহার করে তাদের পূর্বাভাসটি দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে শুধু কতজন যেতে পারল না, আর কতজন ফিরে এল, তার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করলে এবং হিসাব কষলে চলবে না। তাতে অনুমানে ভুল হবে। মূল হিসাবের মধ্যে আনতে হবে আন্ডারগ্রাউন্ড ইকোনমির নানা বাস্তবতা। সেসবের কথা আমি আগেই বলেছি। এসব আমলে নিয়েই পূর্বাভাস দিতে হবে।

প্রশ্ন :

মহামারির সময়ে কতজন চাকরি হারিয়েছেন বা বেতন পেতে কতজনের অসুবিধা হয়েছে?

তাসনীম সিদ্দিকী: গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত আমরা দেখেছি, বিদেশে চাকরি আছে কিন্তু বেতন পাচ্ছেন না, বিলম্বে পাচ্ছেন কিংবা আংশিক বেতন পাচ্ছিলেন, এমন অভিবাসীর হার ৪৭ শতাংশ। চাকরি গেছে ২৬ শতাংশের। ঘুরেফিরে কাজ করতেন এমন লোকের সংখ্যা ছিল ২৭ শতাংশ। সুতরাং সে সময় অর্ধেকের বেশি শ্রমিকই দুরবস্থায় ছিলেন। এখন ৩ লাখ ২৬ হাজার ফেরত এসেছেন। তবে চাকরির বাস্তবতা এখন আবার ভালো হতে শুরু করেছে।

প্রশ্ন :

করোনার সময়ে যাঁরা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেননি, তাঁদের দেশে থাকা পরিবারগুলো তাহলে কীভাবে চলেছে বা চলছে?

তাসনীম সিদ্দিকী: আগে জানা দরকার, কতভাগ পরিবার প্রবাসী আয়ের ওপর কতটা নির্ভরশীল ছিল। আমাদের জরিপে দেখা যায়, ৫৭ ভাগ পরিবার বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার ওপর শতভাগ নির্ভর করে চলত। ৭৫ শতাংশ নির্ভরশীল ছিল ২৫ ভাগ পরিবার। এসব পরিবারের খুব দুর্দিন গেছে। আরও দেখা গেছে, কোভিড-১৯-এর সময় নারী শ্রমিকেরা বেশি হারে টাকা পাঠিয়েছেন। নারী পাঠিয়েছেন ৬৯ ভাগ, আর পুরুষ পাঠিয়েছেন ৩০ ভাগ। ৬০ শতাংশ পুরুষপ্রধান পরিবার চলেছে ধারের ওপর। পরিবারগুলো আগে চলত ১৭ হাজার টাকায়, এখন চলেছে গড়ে ৭ হাজার ৩০০ টাকায়। এটা তাদের পারিবারিক খরচের ৫৭ শতাংশ অবনতি ঘটিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পুষ্টি ও শিক্ষাসহ কৃষিকাজের ওপরও, কেননা অনেকে প্রবাসী আয় দিয়ে জমি চাষের খরচ মেটান, অনেকে ঋণের কিস্তি দেন। অনেকে কোভিড-১৯-এর পাশাপাশি বন্যা ও সাইক্লোন আম্পানের কারণে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন। এ সময়ে প্রবাসীরা যাঁরা পেরেছেন তাঁরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি টাকা পাঠিয়েছেন। এটাও রেমিট্যান্স বেশি দেখানোর অন্যতম কারণ।

প্রশ্ন :

করোনার সময় যাঁরা বিদেশে গেছেন আর যাঁরা বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন, তাঁরা দুদিকেই কী রকম গঞ্জনার শিকার হয়েছেন?

তাসনীম সিদ্দিকী: অভিবাসীরা যেকোনো সংকটে সবার আগে নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়, তা আবার প্রমাণিত হলো। তারা যে শুধু বিদেশে হুমকিতে পড়েছে তা নয়, দেশেও পড়েছে। কুয়েত ও সৌদি আরবের গণমাধ্যমে আমরা এ ধরনের প্রচারণা দেখেছি যে অভিবাসীদের মরুভূমিতে ফেলে আসা দরকার, তারাই করোনার কারণ, তাদের তাড়িয়ে দিয়ে দেশকে শুদ্ধ করতে হবে ইত্যাদি। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিখ্যাত তারকাই এসব বলেছেন। এই সুযোগে তাদের সরকার সব চুক্তি ভঙ্গ করে অনেককে ফেরত পাঠানোর সুযোগ পায়। তারা ভেবেছে, এখন কাজ নেই, অথচ চুক্তি মোতাবেক অভিবাসীদের সব সুবিধা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে হবে। করোনার সময়ে তারা তাদের নিজেদের শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা দিয়েছে, কিন্তু অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সেটা করেনি। এটা করবে না বলেই তারা তাদের গণমাধ্যমে নানা অপপ্রচার করে জনমতকে তাতিয়ে তুলেছে, যাতে সেই খরচটা বেঁচে যায়। এটা সবচেয়ে বেশি করেছে মালয়েশিয়া। এমনকি আমাদের দেশেও গণমাধ্যমে কোভিড সতর্কতা বিষয়ে প্রচারণায় কোনো কোনো টেলিভিশন চ্যানেল এবং কোনো কোনো খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী অভিবাসীদের সন্দেহের চোখে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। এটাকে আমরা বলছি সিকিউরিটাইজেশন, যা আসলে অভিবাসী শ্রমিকদের অপরাধীর সমতুল্য করে দেখায়। বাংলাদেশে ও বিদেশে এ জন্য অনেক অভিবাসীকে জেলেও যেতে হয়েছে।

প্রশ্ন :

কোভিড-১৯-এর মতো বৈশ্বিক দুর্যোগের মুখে অভিবাসীদের জন্য সরকারের ভূমিকা কেমন ছিল?

তাসনীম সিদ্দিকী: এই অতিমারির মুখে সরকার শুরু থেকেই (গত ফেব্রুয়ারি) দূতাবাসগুলোকে সতর্ক করেছে এবং অভিবাসীদের পাশে দাঁড়াতে বলেছে। সরকার ৪ শতাংশ সুদে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ফেরত আসা অভিবাসীদের পুনর্বাসনে ঋণের জন্য। অথচ গার্মেন্টস মালিকদের দেওয়া হয়েছে ২ শতাংশ সুদে। চার-পাঁচ শর বেশি অভিবাসী ঋণ নেননি। তাঁরা বলেছেন, এখন ‍ঋণ চাই না, কারণ এখন টাকা খাটাতে পারব না। এখন চাই খাওয়া-পরার নিশ্চয়তা। তাঁরা বলেছেন, আমরা ব্যবসায়ী না, আমরা চাকরি চাই। সরকারের ঋণ প্রকল্প ভালো পদক্ষেপ, কিন্তু শুধু ঋণ দিলে তারা নেবে না, বরং এর সঙ্গে ব্যবসা-পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও সুযোগের বন্দোবস্ত করে দিতে হবে।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

তাসনীম সিদ্দিকী: আপনাকেও ধন্যবাদ।