রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মোমেনের ফোনালাপ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন
ফাইল ছবি

ব্যবসা-বাণিজ্য, সন্ত্রাসবাদ দমন আর প্রতিরক্ষা খাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন ওয়াশিংটন সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ন্যাড প্রাইস আজ বুধবার এ তথ্য জানান। রোহিঙ্গা ‌সমস্যার স্থায়ী সমাধান আর শ্রম ও মানবাধিকার সুরক্ষায় শ্রদ্ধার বিষয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেছেন।

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনে কথা বলেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তাঁরা কথা বলেছেন।

২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আব্দুল মোমেনকে অভিনন্দন জানান অ্যান্থনি ব্লিংকেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়া এবং বৃহত্তর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গভীর সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। চার দিনের সফরে আব্দুল মোমেন গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে পৌঁছান।

মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বব মেনেন্দেজসহ কয়েকজন সিনেটরের সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে তাঁর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশনসে (সিএফআর) বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও নিউলাইনস ইনস্টিটিউটে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে দুটি আলাদা আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইউএস চেম্বারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর সফরসূচিতে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন পোস্টে একটি সাক্ষাৎকারও দেবেন বলেও জানা গেছে।

বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগের পরিধি জ্বালানি ছাড়িয়ে তথ্যপ্রযুক্তিসহ নতুন খাতে সম্প্রসারণ, বাণিজ্য বাড়ানো, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়া, প্রযুক্তি হস্তান্তর, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়টিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ওয়াশিংটন সফরে জোরালোভাবে তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।