রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি বাংলাদেশে আয়োজনের আবেদন খারিজ

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে লাখো রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়
রয়টার্স ফাইল ছবি

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিচারের মামলার শুনানি আংশিকভাবে অথবা অভিযোগ গঠনের শুনানির পুরোটাই বাংলাদেশে আয়োজনের আবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) খারিজ করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এখনো হয়নি জানিয়ে আইসিসির প্রি-ট্রায়াল চেম্বার-৩ গত সোমবার আবেদনটি খারিজের আদেশ দেন। বিচারপতি ওলগা হেরেরা কারবুচিয়ার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের এই আদালতে অপর দুজন হলেন বিচারপতি রবার্ট ফ্রেমার ও বিচারপতি জেফ্রি হ্যান্ডারসেন।

আদালত অবশ্য বলেছেন, কথিত অপরাধের ঘটনাস্থল ও ভুক্তভোগীদের কাছাকাছি স্থানে বিচারের ব্যবস্থা করার আবেদন জানানোর অধিকার আবেদনকারীদের রয়েছে। তবে কোভিড পরিস্থিতির বিধিনিষেধের কারণে বাংলাদেশে শুনানি অনুষ্ঠানের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য আইসিসির প্রতিনিধি পাঠানোর বাস্তবতা এখন নেই।

আদেশে বলা হয়, অভিযোগ আইসিসির অনুসন্ধান পর্যায়ে থাকায় শুনানি আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এখনো হয়নি বলে আদালত মনে করছেন। আদালত বলেছেন, এই মুহূর্তে এমন কোনো বিষয় আদালতের সামনে নেই, যার জন্য শুনানি করা প্রয়োজন হবে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার শিকার ভুক্তভোগীদের পরিবার ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৫০ জনের প্রতিনিধিত্বকারী তিনটি গ্রুপের পক্ষে গত ৪ আগস্ট আইসিসিতে একটি আবেদন পেশ করে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছাকাছি কোনো জায়গায় (উদ্বাস্তু শিবিরের কাছাকাছি হিসেবে বাংলাদেশে) শুনানি অনুষ্ঠানের আবেদন জানানো হয়। যাতে তাঁরা সাক্ষ্য দেওয়া এবং সহজেই মামলার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পান। আবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছাকাছি কোথায় এই বিচারের শুনানির আয়োজন করা যায়, তা সমীক্ষা করার জন্য আদালতের সচিবালয়কে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির দপ্তর আবেদনটির বিরোধিতা করে তা খারিজ করার অনুরোধ জানায়। তবে প্রি-ট্রায়াল চেম্বার ১৭ আগস্ট আবেদনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য আদালতের রেজিস্ট্রারের দপ্তরকে নির্দেশ দেন। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর আইসিসির রেজিস্ট্রি তাদের পর্যবেক্ষণ পেশ করে।