রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি সু চির না দেখাটা বড় বেইজ্জতির বিষয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মনে করেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির চোখে না দেখাটা দুঃখজনক। তাঁর (সু চি) মতো হেভিওয়েট যদি এটা না দেখেন, এটা বড় বেইজ্জতির বিষয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় তাঁর দপ্তরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আল মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সু চির ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা গণহত্যার মামলার শুনানি চলছে। ওই শুনানিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অপকর্মের পক্ষে সাফাই গাইছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চি। তিনি শুনানিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আইসিজেতে গিয়ে মিয়ানমার সেনাদের পক্ষে সু চির অবস্থানকে কীভাবে দেখেন, তা জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতীক অং সান সু চির এমন অধঃপতন। এতে আমার দুঃখ লেগেছে। সু চি যেন সত্যি বলেন, সেই অনুরোধ জানিয়ে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাত ব্যক্তিত্ব গতকাল মঙ্গলবার তাঁর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, ওনার দিব্যজ্ঞান হবে। উনি যে অবস্থান নিয়েছেন, তা থেকে ফিরবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুব গর্বিত যে গাম্বিয়ার মতো দেশ বিষয়টি আইসিজেতে নিয়ে এসেছে। গতকাল যে শুনানি হয়েছে, তা ভালো হয়েছে। আমরা চাই, মিয়ানমারের নির্যাতিত যেসব মানুষ আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা স্বদেশে গিয়ে সুন্দর জীবন যাপন করবেন। আমরা চাই, এ ধরনের নির্যাতন আর কখনো হবে না। এ জন্যই জবাবদিহি দরকার। ওআইসির সদস্য হিসেবে এবং নীতিগত অবস্থান থেকে একজন লোক নির্যাতিত হোক, তা আমরা চাই না। এ জন্য জবাবদিহি চাই।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এত বড় অন্যায় হচ্ছে, উনি (সু চি) যদি চোখে না দেখেন, তাহলে তো দুঃখজনক। তাঁর মতো হেভিওয়েট যদি না দেখেন, এটা বড় বেইজ্জতির বিষয়।’