রোহিঙ্গা শিবিরে সৌরবিদ্যুতের ঝলকানি

রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে সৌরবিদ্যুতের সরঞ্জাম হস্তান্তর ও প্রশিক্ষণ
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বিশাল এলাকা সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত এখন। সংযুক্ত আরব আমিরাত পরিচালিত জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ ‘বিয়ন্ড২০২০’-এর ফলে এমনটি সম্ভব হয়েছে। সৌরশক্তির মাধ্যমে তাদের লাইটিং সল্যুশন কার্যক্রমের ফলে পাল্টে গেছে সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর জীবন। মঙ্গলবার জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামে এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বিশ্বের মোট নয়টি দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে টেকসই প্রযুক্তি ও সমাধান প্রদান করেছে বিয়ন্ড ২০২০। কক্সবাজারে শরণার্থীশিবিরে সৌরশক্তি প্রযুক্তি স্থাপনে দায়িত্ব পায় ‘ইলেকট্রিশিয়ানস উইদাউট বর্ডারস’। জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ ২০২০-এ ‘এনার্জি’ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছিল এ প্রতিষ্ঠান।

উদ্যোগটি প্রসঙ্গে আমিরাতের শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তিমন্ত্রী সুলতান আহমেদ আল জাবের বলেন, বাংলাদেশে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিয়ন্ড ২০২০ এবং এর সহযোগীরা আনন্দিত। এটি নিঃসন্দেহে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দৈনিক জীবনযাপনকে আরও সহজ ও নিরাপদ করে তুলবে। তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আরও বেশি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করবে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ উদ্যোগ। বিশেষ করে শারীরিকভাবে অক্ষম, নারী ও অল্প বয়সী মেয়েদের জন্য এই প্রকল্প নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

ইলেকট্রিশিয়ানস উইদাউট বর্ডারস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থীশিবিরগুলোতে ২৪০টি সোলার হোম সিস্টেমস এবং ৬৪০টি সোলার ল্যাম্প স্থাপন করেছে। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে নেপাল, তানজানিয়া, উগান্ডা, জর্ডান, মিসর, কম্বোডিয়া, মাদাগাস্কার এবং ইন্দোনেশিয়ায় শক্তি, স্বাস্থ্য, পানি এবং খাদ্যসহ বিভিন্ন খাতে মোট আটটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য বাংলাদেশ ছাড়াও আরও ১১টি দেশকে বাছাই করা হয়েছে।