লকডাউন উপেক্ষা করে পাঁচবিবিতে গরুর হাট
সারা দেশে চলমান সীমিত পরিসরের লকডাউনের মধ্যেও মঙ্গলবার জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে নির্ধারিত স্থানে সাপ্তাহিক গরুর হাট বসে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিল না। গরুর হাট বসায় পাঁচবিবি পৌর এলাকার চিত্রও ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। সড়কে যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি দোকানপাটও খোলা ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও গরুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও মঙ্গলবার পাঁচবিবিতে হাট বসে। এর মধ্যে গরুর হাট বসে মঙ্গলবার। এটি জেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৭ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত জয়পুরহাট ও পাঁচবিবিতে গরুর হাট বন্ধ ছিল। এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর একটি গরুর হাট কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। এরপর ২২ জুনও পাঁচবিবিতে গরুর হাট বসেছিল। তবে তখনো জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে হাট বসানো হয়নি।
সপ্তাহ ঘুরে আজ একই স্থানে যথারীতি গরুর হাট বসে। হাট বিভক্তির ওই নির্দেশনা আজও মানতে দেখা যায়নি। গরুর হাটের অধিকাংশ ক্রেতা–বিক্রেতার মুখেই মাস্ক ছিল না। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারেও উদাসীনতা দেখা গেছে।
এদিকে গরুর হাটকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকায় ভটভটি, ইজিবাইক, সিএনজিসহ অন্যান্য ছোট যানবাহন বিনা বাধায় চলাচল করেছে। এ ছাড়া উপজেলার অধিকাংশ দোকানপাট ও বিপণিবিতানও খোলা ছিল। এ ব্যাপারে পাঁচবিবি বণিক সমিতির সভাপতি ভরত প্রসাদ গোয়ালা বলেন, ‘আজ তো সাপ্তাহিক গরুর হাট বসেছিল। তাহলে হাটবারের দিন দোকানপাট খুলতে কী সমস্যা?’
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরমান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিধিনিষেধে ২১ জুন পর্যন্ত গরুর হাট বন্ধ ছিল। এরপর গরুর হাট বন্ধের কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আজ যথারীতি গরুর হাট বসেছিল। এতে প্রশাসন কোনো বাধা দেয়নি।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহমেদ ভূঞা জানান, গরুর হাট চালু বা বন্ধের এখতিয়ার জেলা প্রশাসনের। এখানে পুলিশের কিছু করণীয় নেই। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের কাছে গরুর হাট বন্ধের কোনো নির্দেশনা আসেনি।
জানতে চাইলে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।