লকডাউনে পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী বহন নয়: কাদের

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

লকডাউন চলাকালে পণ্যবাহী পরিবহন যাতে কোনোভাবেই যাত্রীবাহী পরিবহনে রূপ নিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজ সোমবার সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চলমান কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভা থেকে এ আহ্বান জানান। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণায় লঞ্চ ও ফেরিঘাটে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ ধরনের মনোভাব করোনার সংক্রমণকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আমি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে গণপরিবহন চলাচলে শর্ত প্রতিপালনের ক্ষেত্রে অনেক মালিক-শ্রমিক কথা রাখেননি। আবার কেউ কথা রেখেছেন। অনেকে সমন্বয়কৃত ভাড়া আদায় করেছে ঠিকই, কিন্তু অর্ধেক আসন খালি রাখেননি। এসব বিষয়ের পাশাপাশি গণপরিবহনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কঠোর মনিটরিং জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়মিত আদালত পরিচালনা করতে হবে বলে উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। যেখানে অনিয়ম, সেখানে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

ড্রাইভিং লাইসেন্স বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন সীমিত পর্যায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। লাইসেন্সের এনরোলমেন্ট ও বায়োমেট্রিক প্রদানের কাজ শুরু হলেও তেমন গতি পায়নি। তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে দ্রুততম সময়ে লাইসেন্স কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।

সভায় রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়ে থাকে। এ কথা অনেকাংশে সত্য যে নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও বাধা-বিপত্তির মধ্যে দেশের গণতন্ত্র এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে সরকারি দলের পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার শক্তিশালী বিরোধী দল অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।

একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দল গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শক্তিশালী একটি বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে একদিকে যেমন উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি সবল হওয়ার উর্বর ক্ষেত্র খুঁজে পায়, তেমনি সরকারি দলেরও একটি অংশের স্বেচ্ছাচারী হওয়ার অবকাশ থেকে যায়। তাই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বিরোধী দলের শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।