লিভ টু আপিল খারিজ, ২ আসামির যাবজ্জীবন বহাল

শিশু রাকিব

খুলনায় শিশু রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় দুই আসামি শরীফ মোটরসের মালিক ওমর শরীফ ও তাঁর সহযোগী মিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

ওই মামলায় ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ওই দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে দুই আসামি ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন। লিভ টু আপিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশফেক উদ্দিন বখতিয়ার।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, আপিল বিভাগ আসামিদের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। আসামি শরীফ ও মিন্টুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইল। দুই আসামিই কারাগারে আছেন।

আইনজীবী মোশফেক উদ্দিন বখতিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, মক্কেল চাইলে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করা হবে।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বিকেলে খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামের এক মোটরসাইকেলের গ্যারেজে মলদ্বারে কম্প্রেশার মেশিনের মাধ্যমে বাতাস ঢুকিয়ে রাকিবকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় পরের দিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে গ্যারেজ মালিক শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার ৯৬ দিনে বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের ৮ নভেম্বর রায় দেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক।

বিচারিক আদালতের রায়ে শরীফ ও তাঁর সহযোগী মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর বিউটি বেগমকে খালাস দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলার নথিপত্র ওই বছরের ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়, যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল রায় দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আরও পড়ুন