লেখকদের নিয়ে উষ্ণ প্রীতির সন্ধ্যা

ঈদসংখ্যার লেখক ও সুধীজনদের নিয়ে প্রীতিসমাবেশ ও ইফতারের আয়োজন করে প্রথম আলো। মঙ্গলবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

করোনা মহামারির দীর্ঘ করাল ছায়া সরে যাচ্ছে। সঙ্গনিরোধের বন্দিদশা, প্রিয়জন হারানোর শোক কাটিয়ে জনজীবনে ফিরেছে কর্মোদ্দীপনা, উৎসবের আনন্দ। কদিন আগেই বিপুল উৎসাহে উদ্‌যাপিত হলো বাঙালির আপন বর্ষপঞ্জির নতুন বছর বরণের ঐতিহ্যবাহী উৎসব। সামনেই ঈদুল ফিতরের আনন্দ। বরাবরের মতোই ঈদ সামনে রেখে দেশের অগ্রগণ্য সাহিত্যিক ও নবীনদের লেখায় সমৃদ্ধ ঈদসংখ্যা বাজারে এনেছে প্রথম আলো। মঙ্গলবার লেখক ও সুধীজনদের নিয়ে প্রীতিসমাবেশ ও ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো প্রথম আলোর ঈদসংখ্যা।

রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে এই প্রীতিসমাবেশে ঈদসংখ্যার লেখকদের পাশাপাশি দেশের প্রবীণ-নবীণ লেখক, শিক্ষাবিদ, শিল্পী, প্রকাশক, সাংবাদিক, রাজনীতিক ও নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।

মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার আয়োজনটি হলো। অতিথিদের স্বাগত সম্ভাষণ জানিয়ে প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি সাজ্জাদ শরিফ বলেন, প্রথম আলো বরাবরই দেশের সেরা লেখকদের লেখায় ঈদসংখ্যাটি সাজানোর চেষ্টা করে। ভবিষ্যতেও সেই চেষ্টা থাকবে।

গৃহরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে বহুদিন পর এমন একটি সমাবেশে যুক্ত হতে পেরে অতিথিরা বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলেন। কবি ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আজ যেন মুক্তির আনন্দ পেলাম।’

শিল্পী রফিকুন নবী বলেন, ‘এবারের ঈদসংখ্যায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রয়েছে। সবটা পড়া হয়নি। তবে সব মিলিয়ে বেশ ভালো হয়েছে।’

অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঈদসংখ্যা নিয়ে বলেন, ‘একটা সময় মনে হতো পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য ছাড়া আমাদের চলবে না। সেই অবস্থা এখন নেই। এ ক্ষেত্রে প্রথম আলোর সাহিত্যপাতা এবং ঈদসংখ্যার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।’

লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অনেক দিন পর একসঙ্গে প্রিয়মুখের দেখা পেলাম। এটাই খুব ভালো লাগছে।’

লেখক মোশাহিদা সুলতানা উল্লেখ করেন, প্রবীণ লেখকদের পাশাপাশি প্রথম আলোর ঈদসংখ্যায় নতুন লেখকদের লেখা গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হচ্ছে। এটা নতুনদের জন্য খুব আশাব্যঞ্জক।

অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, প্রথম আলোর ঈদসংখ্যার লেখা থেকে অলংকরণ সব কিছুই গোছানো সুন্দর।

অনেক দিন থেকেই দেশের সেরা ঈদসংখ্যাটি প্রথম আলোই প্রকাশ করছে বলে উল্লেখ করেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক, সাংসদ রুমিন ফারহানা, লেখক মোরশেদ শফিউল হাসান, অধ্যাপক আনিসুজ্জামানে স্ত্রী সিদ্দিকা জামান, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, লেখক মশিউল আলম অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদ আখতার হোসেন, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এইচ এম জহুরুল হক।

শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ আবুল বার্‌ক্‌ আলভী, আবদুল মান্নান, ওয়াকিলুর রহমান, আতিয়া ইসলাম, গৌতম চক্রবর্তী, শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।

আরও উপস্থিত ছিলেন লেখক রেজাউর রহমান, বদিউল আলম মজুমদার, শামিম আমিনুর রহমান, কথাসাহিত্যিক মাসরুর আরেফিন, কবি হাসান হাফিজ, আলতাফ হোসেন, ফারুক মাহমুদ, জাহিদ হায়দার, রুবী রহমান, আলফ্রেড খোকন, টোকন ঠাকুর, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, আলোক হেলথকেয়ার ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন প্রমুখ।