শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে

ট্রেন
প্রতীকী ছবি

বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় আগামী বুধবার থেকে ট্রেন চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে রেলওয়ে। এবার আর অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে নয়, আসন পূর্ণ করেই সব ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে এবং বাকি অর্ধেক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে। আসন ফাঁকা না রাখলেও যাত্রীদের মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেবে রেলওয়ে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্র আজ রোববার প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র বলছে, বুধবার থেকে আন্তনগর ও মেইল মিলিয়ে ৫৭ জোড়া ট্রেন চালানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আন্তনগর ৩৮ জোড়া এবং মেইল ও কমিউটার ট্রেন ১৯ জোড়া।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ থেকে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। সে সময় ৫৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। তবে তখন অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি করা হয়নি। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এত দিন ন্যূনতম শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য গণপরিবহনে এক আসন ফাঁকা রেখেই যাত্রী নেওয়া হয়।

এবার আর সেই বিধিনিষেধ থাকছে না। আজ বিকেলে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে গণপরিবহনে আসনের সমান যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রেলে সব মিলিয়ে ৩৫৯টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা ১০৪টি। রেলওয়ে সূত্র বলছে, শুধু অনলাইনে টিকিট বিক্রি করলে অনেক সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হন। এ জন্যই কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করার পক্ষে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া সব ট্রেন একসঙ্গে চালু না করার কারণে যাত্রীদের চাপ থাকে বেশি। অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না। এতে রেল আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। এ জন্যই সব আসনের টিকিট বিক্রি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। এই বিষয়ে মৌখিকভাবে সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করার চেষ্টা থাকবে।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করেছিল। কিন্তু তারপরও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহ সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ঈদের সময় আট দিনের বিরতি দিয়ে আবার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়, যা ১০ আগস্ট শেষ হচ্ছে।