প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের ঢাকা শাখার নিয়ন্ত্রক শহিদুল হককে সাময়িক বরখাস্তের পর তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অনুমোদন পাওয়ার দিন গত সোমবারই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল জানান বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন।
‘গুনে গুনে ঘুষ খান তিনি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন ৮ অক্টোবর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত হওয়ার পর ১০ অক্টোবর শহিদুল হককে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঈদের আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি শহিদুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন পাঠায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তা অনুমোদন দিয়ে পাঠায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় গত সোমবার তা অনুমোদন দেয়।
সূত্র জানায়, আজ শহিদুল হককে ১০ দিনের সময় দিয়ে ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশ পাঠাবে মন্ত্রণালয়। জবাব পাওয়ার পর তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তদন্ত কমিটি সরকারি কর্মকমিশনে (পিএসসি) প্রতিবেদন পাঠাবে। চূড়ান্ত বরখাস্তের আগে পিএসসি আবার তা পাঠাবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে।
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকে চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বরখাস্ত, অপসারণ বা বিভাগীয় মামলা করতে হলে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অনুমোদন নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।