শহীদুল্লাহ কায়সারকে মুঈনুদ্দীন-আশরাফুজ্জামানের হাতে দেন খালেক

পলাতক চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সোমবার জবানবন্দি দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ দেওয়া জবানবন্দিতে পান্না কায়সার বলেন, একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর শ্বশুরবাড়ি কায়েতটুলি থেকে সন্ধ্যায় মুখ ঢাকা চার-পাঁচজন সশস্ত্র যুবক তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি ও তাঁর ননদ মিলে একজনের মুখ খুলে ফেলেন।

পান্না কায়সার জবানবন্দিতে বলেন, দেশ স্বাধীনের পরে শহীদুল্লা কায়সারের ছোট ভাই জহির রায়হান এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। পরে পান্না কায়সার তাঁকে শনাক্ত করেন। তাঁর নাম খালেক মজুমদার। ওই সময় খালেক বলেন, তিনি শহীদুল্লা কায়সারকে হত্যা করেননি। ধরে নিয়ে মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের হাতে তুলে দিয়েছেন। ১৯৭২ সালে দালাল আইনে খালেক মজুমদারের বিচার শুরু হলে, তিনি আদালতে একই কথা বলেন।

তিন ঘণ্টা ধরে জবানবন্দি দেওয়ার সময় বারবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পান্না কায়সার। স্বামীসহ সব বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার চান তিনি।