শাবিপ্রবির আন্দোলনে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় তৃতীয় পক্ষ: ঢাবি শিক্ষক সমিতি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন চলছে। অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়া এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে
ফাইল ছবি

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ ‘ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায়’ লিপ্ত বলে মনে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

আজ সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। চলমান পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার আন্দোলনকারীরা হঠাৎ উপাচার্যের বাসার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন, যা অমানবিক এবং শিক্ষাঙ্গনের আন্দোলনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মাত্রা যুক্ত করেছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেকোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই বাঞ্ছনীয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে যে ধরনের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপিত হয়েছে, তা থেকে প্রতীয়মান হয় যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ এই আন্দোলনে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত। একটি বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরের অপচেষ্টা করছে বলে প্রতীয়মান হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের মূল দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ পূরণ হওয়া সত্ত্বেও আন্দোলনটি উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের এই রূপান্তরের বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং উদ্বেগের, যা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে সরকারকে আহ্বান জানাব, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি পুলিশি হামলায় কারোর কোনো উসকানি রয়েছে কি না, তা–ও তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’