শিশুদের জন্য ক্ষতিকর ওয়েবসাইট বন্ধের সুবিধা নিন, পরামর্শ বিটিআরসির

বিটিআরসি

ইন্টারনেটে শিশু-কিশোরদের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন কনটেন্ট বা আধেয় বন্ধের সুবিধা নিতে অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সংস্থাটির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এক বিবৃতিতে পাঠিয়ে বলেছেন, ক্ষতিকর কনটেন্ট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে বিনা মূল্যে ‘প্যারেন্টাল গাইডেন্স’ সুবিধা গ্রহণ করুন।

ইন্টারনেট সেবাদাতারা জানিয়েছে, গ্রাহক চাইলে তারা নির্দিষ্ট কোনো ওয়েবসাইট, চ্যাট রুম, ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং, ছবি ও ভিডিও ফিল্টার (নিয়ন্ত্রণ) করা, ইন্টারনেটে কী কী কাজ করা হচ্ছে তা নজরে রাখা, সেটিংস পরিবর্তনের সময় অভিভাবককে সতর্ক করা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারে।  

এ বিষয়ে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) একটি নির্দেশনা দিয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের বলেছিল, ১৫ দিনের মধ্যে ওয়েবসাইট ব্লক বা বন্ধ করাসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শিশুদের জন্য ক্ষতিকর ওয়েবসাইট বন্ধের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা ইন্টারনেট সেবাদাতাদের কাছে রয়েছে। তবে গ্রাহক এ বিষয়ে সচেতন নন। তিনি বলেন, সেবাদাতারা নিজ থেকে কোনো ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিলে তা নিয়ে গ্রাহক বিরক্ত হতে পারেন। এ জন্য গ্রাহককে বলতে হবে তাঁরা কোন কোন ওয়েবসাইট ও অন্য কোন কনটেন্ট বন্ধ করতে চান।

ওয়েবসাইট ও আধেয় বন্ধে দুই ধরনের ব্যবস্থা আছে বলে জানান এমদাদুল হক। প্রথমত, রাউটারে সেটিংস পরিবর্তন করে কাজটি করা যায়। আবার ইন্টারনেট সেবাদাতাদের কাছে ওয়েবসাইট ও আধেয় বন্ধের সফটওয়্যার থাকে।

এমদাদুল হক বলেন, ১ শতাংশ গ্রাহকও ‘প্যারেন্টাল গাইডেন্স’ সুবিধা চান না। তাঁদের সতর্ক হতে হবে।