শীতে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে চায় সরকার

বিদ্যুৎ
প্রতীকী ছবি

শীতের সময় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। এ সময় নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সরকার। নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পাম্পা ভুসালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে নসরুল হামিদ বলেন, ‘গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে নেপালের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ আমরা আমদানি করতে পারি। শীত মৌসুমে যখন তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায়, তখন আমাদের দেশ থেকে তারা বিদ্যুৎ নিতে পারে। এতে দুই দেশই লাভবান হবে।’

বৈঠকে নসরুল হামিদ বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ক্লিন এনার্জি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও ভুটানের সহযোগিতা বড় ভূমিকা রাখবে।

পাম্পা ভুসালের নেতৃত্বে নেপালের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল এবং নসরুল হামিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়। এ সময় তারা দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। নেপালের জলবিদ্যুতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে সেখানে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন নেপালের মন্ত্রী। এ সময় তিনি বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। নেপালের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সুরেন্দ্র লাব কারনা, নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবেন্দ্র কারকি প্রমুখ।