শীতের পোশাক কিনতে ভিড়

রাজধানীতে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের পোশাক কেনা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা অবরোধের তোয়াক্কা না করে শীতের পোশাক কিনছেন নগরবাসী।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতের দোকানে ভিড়।
গ্রিন রোডে ফুটপাতে সোয়েটারের দোকানে নাসরীন আক্তারকে ব্যস্ত দেখা যায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবরোধের কারণে দাম বেশি হাঁকছে বিক্রেতারা। তাই দুইটার জায়গায় একটা কিনতে হচ্ছে।’
বিক্রেতা নিজাম মিয়া বলেন, তিন মাস শীতের পোশাক কেনাবেচা হয়। মৌসুমি ব্যবসা। চলমান হরতাল আর অবরোধে কেনাবেচা প্রায় বন্ধ। অবরোধ আর হরতাল ক্রেতা ও বিক্রেতা কাউকেই খুশি করতে পারেনি।
গণপরিবহন কম থাকলেও রিকশাভ্যানের সংখ্যা অনেক বেশি দেখা যায় ফার্মগেট এলাকায়। নতুন বছর উপলক্ষে দোকান পরিপাটি করেছেন ফিরোজ শেখ।
তিনি বলেন, নতুন বছর শুরু হয়েছে। ব্যবসার ঠিক সময়। তবে বিক্রি বেশি হয় না। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির ভয় তো পেট মানতে চায় না।’
পাশের দোকানে ক্রেতা মো. মিরাজুল মাফলার কিনলেন ২২০ টাকা দিয়ে। তিনি বললেন, ‘মাফলারের দাম কোনো দিন এত্ত বেশি হয়? নিরুপায় হয়ে কিনলাম।’
সকালে কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে মোজার ভ্যানের চারপাশে নারী-পুরুষের ভিড় চোখে পড়ে। এক দাম ৪০ টাকা করে জোড়া। অনেকে আরও কমে দামে কিনতে চান। দোকানদার পাত্তা না দেওয়ায় অনেককে ফিরে যেতে দেখা যায়। যেতে যেতে কথা হয় শিরীনা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছেলের জন্য মোজা কিনতে চাইলাম। এক জোড়ার দাম ৪০ টাকা, কেমনে কিনব।’
ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কে ছোট-বড় অনেক বিপণিবিতান। গতকাল এগুলো সব খোলা ছিল। রাপা প্লাজায় জয়িতায় ভিড় দেখা যায়নি।
জয়িতার একজন বিক্রেতা খায়রুন নাহার বলেন, গত দুই মাস কেনাবেচা প্রায় নেই। কর্মচারীদের বেতন দিতে মালিকের বাজেট শেষ। ব্যবসা শেষ করে দিল রাজনীতি। ক্ষুব্ধ ক্রেতা আয়েশা বেগম বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি না থাকলে সবচেয়ে ভালো হতো।