শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাজ করুন: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ছবি: প্রথম আলো

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেছেন, কারও সন্তুষ্টির কথা তাঁদের ভাবতে হবে না। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই যেন তাঁরা কাজ করেন। কারণ প্রকৃত ঈমানদার তাঁরাই, যাঁরা নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন।

আজ রোববার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি, যৌতুক, বাল্যবিবাহসহ সামাজিক সমস্যা নিরসনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি অত্যন্ত আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।’

বিকেলে মতবিনিময় সভার আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পরে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভাতেও ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি–দাওয়া উত্থাপন করা হয়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, তিনি জানেন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সবাই যদি ঠিকঠাক নিজেদের দায়িত্ব পালন করে, তাহলে প্রতিষ্ঠানটি সুন্দর ও সার্থক হয়ে উঠবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন তৈরি হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য থেকে প্রতিষ্ঠানটি পিছিয়ে আছে।
অপর দিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ৬৪টি জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয় আছে, ৮৫ হাজার মক্তব আছে, ৫০টি ইসলামিক মিশন আছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি প্রতিরোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিরাট দায় আছে। এগুলো যেহেতু সমাজে আছে, তার মানে ঠিকমতো পথ দেখানো যায়নি।

অনুষ্ঠানে বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা কাফিলুদ্দিন সরকার বলেন, দেশে–বিদেশে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ১৩২টি আয়াত, ১৬টি হাদিস ও ১২টি ঘটনাপ্রবাহের ভুল ব্যাখ্যাকে পুঁজি করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। এ ব্যাপারে সঠিক ব্যাখ্যা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া জরুরি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. শাহজাহান সিদ্দিকি বীর বিক্রম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নবনিযুক্ত বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম ইয়াহিয়া চৌধুরী, মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব ও প্রকল্প পরিচালক ফারুক আহম্মেদসহ বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।