শেখ হাসিনাসহ ৪০ বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ বাইডেনের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি

জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল দুই দিন এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারির কারণে এই সম্মেলন ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন বাইডেন। নির্বাচনে জিতে গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি। এরপর ওভাল অফিসে প্রথম কার্যদিবসে তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনেন তিনি। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

এরপর গত ২৭ জানুয়ারি বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজনে তাঁর আগ্রহের কথা জানান। সেই অনুযায়ী এবার সম্মেলনের তারিখ ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের তালিকা ঘোষণা করল হোয়াইট হাউস।

শেখ হাসিনা ছাড়াও এই সম্মেলনে বাইডেন আরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন প্রমুখকে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বাইডেনের এই জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।

আগামী নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘ আয়োজিত পরবর্তী জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত সম্মেলন (কপ–২৬) অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে বাইডেনের এই সম্মেলন জলবায়ু ইস্যুতে অগ্রযাত্রার পথে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমাতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সম্মেলনের সময় বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই লক্ষ্যের বিষয় ঘোষণা করা হতে পারে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের লাগাম টানতে নিজ নিজ দেশের জাতীয় পরিকল্পনার বিষয়ে জানাতে এ সম্মেলনকে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন বিশ্বনেতারা।