সংঘাতের পর শঙ্কার ভোট

দলের প্রতিপক্ষের হামলায় আহত রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান। শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ছবি: শহীদুল ইসলাম

হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, গুলি ও মৃত্যু—দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারে সহিংসতার সব রূপই দেখা গেছে। এমনকি গতকাল শুক্রবার ভোটের আগের দিনও সংঘর্ষ হয়েছে বরগুনা, টাঙ্গাইল ও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পৌরসভায়। আর বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভায় আবারও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর দুই সমর্থককে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংঘর্ষের বেশির ভাগ ঘটনায় নাম এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের। কোথাও দলের প্রার্থীর লোকজন বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতি চড়াও হয়েছেন। আবার কোথাও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা দলীয় প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। বিএনপির প্রার্থীরাও হয়রানি, গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেছেন। এ রকম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আজ শনিবার দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ২৮টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং ৩২টিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হবে।

পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংঘাতে জড়িয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন। মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরাও প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য বানিয়েছেন। নির্বাচনী সহিংসতায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীও রয়েছেন। এ ছাড়া সরকারদলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে।

পৌরসভার মতোই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রচারণাতেও নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। চট্টগ্রামে ভোট ২৭ জানুয়ারি। এই ভোটকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার রাতে শহরের পাঠানটুলী ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী, অনুসারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হন।

পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম পর্বের ভোট সম্পন্ন হয়েছে গত ২৮ ডিসেম্বর। ভোটের দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে জবরদস্তি, প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করা এবং বিরোধীদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অভিযোগ ছিল। তবে দ্বিতীয় পর্বের মতো এতটা মারমুখী ছিল না প্রথম পর্বের প্রচার-প্রচারণা।

দ্বিতীয় ধাপের পৌর ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই। স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দলের জেরে আবদুল কাদের সুষ্ঠু ভোট নিয়ে একাধিকবার নিজের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬টি পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। মূলত এসব পৌরসভায় বাধা, সংঘাতের ঘটনা বেশি ঘটেছে। তবে যেখানে বিদ্রোহী নেই, সেখানে সাংসদ-উপজেলা চেয়ারম্যান দ্বন্দ্ব, স্থানীয় নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের কারণেও পাল্টাপাল্টি হামলা হচ্ছে। তবে কাউন্সিলর পদ নিয়েই বেশি ঝামেলা হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে এখন বিএনপি বা অন্য দলের প্রার্থীকে কেউ আর প্রতিপক্ষ মনে করছে না। দলের মধ্যেই বিরোধের কারণে হামলা, সংঘর্ষ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থী ও প্রতিপক্ষ দুজনই আওয়ামী লীগের হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠিক কী ভূমিকা নেবে, সেটি নির্ধারণ করাও সমস্যা হয়ে পড়ে।

পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম পর্বের ভোট সম্পন্ন হয়েছে গত ২৮ ডিসেম্বর। ভোটের দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে জবরদস্তি, প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করা এবং বিরোধীদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অভিযোগ ছিল। তবে দ্বিতীয় পর্বের মতো এতটা মারমুখী ছিল না প্রথম পর্বের প্রচার-প্রচারণা।

এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, কাউন্সিলর ভোট নিয়ে স্থানীয়ভাবে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব থাকে। এ কারণেও কিছু সংঘাত হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে বলে তিনি মনে করেন।

সংঘাত-জখম
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শহীদুজ্জামানের দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাঁরা সম্পর্কে মামা-ভাগনে। দুজনকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত দুজন হলেন আড়ানী পৌর এলাকার ৪ নম্বর নুরনগর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান ও তাঁর ভাগনে আরিফ হোসেন। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মুক্তার আলীর সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।

এর আগে গত বুধবার রাতে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর পথসভায় বোমা হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়সহ শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে পরপর দুই দিনের সংঘাতের কারণে নির্বাচনী এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

বরগুনা পৌরসভার নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় এক নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীকে বাসায় ডেকে নিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠছে প্রতিদ্বন্দ্বী নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে। আহত দেলোয়ার হোসেনকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দেলোয়ার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নিপা আক্তারের কর্মী।

কাউন্সিলর ভোট নিয়ে স্থানীয়ভাবে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব থাকে। এ কারণেও কিছু সংঘাত হয়।
মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক

দেলোয়ারের অভিযোগ, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে প্রচার চালাতে যান শহীদ মিনার এলাকায়। সেখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাসরিন নাহারের কর্মী তাঁকে নিজের বাসায় ডেকে নেন। পরে ওই বাসায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়।
বরগুনায় বুধবারও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের ১৭ জন কর্মীকে আসামি করা হয়।এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ। এর আগে ২০১৫ সালের নির্বাচনেও বরগুনা পৌর সদরে একাধিক বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোটের দিন সংঘাতে কামরুল আহত হন। হুড়োহুড়িতে ভয়ে এক বৃদ্ধ প্রাণ হারান। সেবারও মহারাজ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। বিদ্রোহী হিসেবে শাহাদাত হোসেন জয়ী হন।

এ ছাড়া বুধবার রাতে নরসিংদীর মনোহরদীতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আমিনুর রশিদের উঠান বৈঠকে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। তবে দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো মামলা হয়নি। হামলার পেছনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদের নাম এসেছে। তিনি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে।

আচরণবিধি লঙ্ঘন
আচরণবিধি অনুসারে, পৌর নির্বাচনে প্রচার চালাতে পারেন না সাংসদেরা। কিন্তু কয়েকটি পৌরসভায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদেরা সেই বিধিনিষেধ মানছেন না। সাংসদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ভোট চাইছেন এবং ভোটের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

শুক্রবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সারিয়াকান্দি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর শাহী অভিযোগ করেন, স্থানীয় সাংসদ শাহাদারা মান্নান বহিরাগতদের একত্র করে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করছেন। নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সেই নির্দেশনাও সাংসদ দিয়েছেন। নৌকা মার্কায় প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছেন। একই কাজ করছেন সাংসদের ছেলেও।

নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ। সরকারেরও সুষ্ঠু ভোট করার আগ্রহ নেই। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করছে না। পৌরসভা নির্বাচনে এটা আরেকবার প্রমাণ হয়েছে।
বদিউল আলম মজুমদার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক

আলমগীর শাহী সারিয়াকান্দি পৌরসভার বর্তমান মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাঁর আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংসদ শাহাদারা মান্নান।

এদিকে বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্থানীয় সাংসদ আবদুল হাই প্রকাশ্যে সভা করে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজিমের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়বুর রহমান খান ও বিএনপির প্রার্থী খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন।

এর আগে পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভাতেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগ ওঠে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ শামসুল হকের বিরুদ্ধে।

বিরোধীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি আতঙ্ক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বিদ্রোহী—কেউ কাউকে ছাড়ছেন না। তবে বিরোধী দল বিএনপির প্রার্থীদের অবস্থা ভিন্ন। নিজ দলে তাঁদের তেমন প্রতিপক্ষ নেই। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বেশি, আছে হয়রানির আশঙ্কাও। এ ছাড়া প্রতিপক্ষের হামলারও শিকার হচ্ছেন তাঁরা।

শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নুরুল মিল্লাত অভিযোগ করেন, তাঁর সমর্থকদের এলাকাছাড়া করতে বাড়ি বাড়ি পুলিশ হানা দিচ্ছে।

অবশ্য কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এ কে এম সুলতান মাহমুদ দাবি করেন, এই অভিযোগ বিএনপির অভ্যাসগত প্রচার।

টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হক আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন। অবশ্য আওয়ামী লীগ এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে।

আচরণবিধি অনুসারে, পৌর নির্বাচনে প্রচার চালাতে পারেন না সাংসদেরা। কিন্তু কয়েকটি পৌরসভায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদেরা সেই বিধিনিষেধ মানছেন না। সাংসদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ভোট চাইছেন এবং ভোটের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী কামাল উদ্দীন আহমদের স্ত্রী শাফিয়া চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শাফিয়ার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

পৌর ভোটে সহিংসতার বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৪ সালে একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই নির্বাচন ব্যবস্থার অবনতি শুরু হয়েছে। বিরোধীরা কোণঠাসা, ক্ষমতাসীনেরা যেকোনো মূল্যে জেতার পথ বেছে নিচ্ছে। এই প্রবণতা এখন আরও বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ। সরকারেরও সুষ্ঠু ভোট করার আগ্রহ নেই। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করছে না। পৌরসভা নির্বাচনে এটা আরেকবার প্রমাণ হয়েছে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা]