সব জেলায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
ফাইল ছবি

বর্জ্যবিদ্যুৎ স্মার্ট শহর গড়তে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, দেশের সব জেলায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গে ঢাকার আমিনবাজারে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্জ্যের এই ব্যবস্থাপনা শুধু বিদ্যুৎই দেবে না, একই সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাস করে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমিত করবে।’

নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকা শহরে দ্রুত বৈদ্যুতিক যানবাহন চালু করতে পারলে পরিবেশের জন্য খুবই ভালো হয়। বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের দক্ষতা বেশি, আর্থিকভাবেও সাশ্রয়ী। বিদ্যুৎ বিভাগ প্রয়োজনীয় চার্জিং স্টেশন করে দেবে। এ সময় তিনি বিদ্যুতের লাইন ভূগর্ভস্থ করার বিষয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সহযোগিতা কামনা করেন।

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএমইসি)। ডিএনসিসি স্পনসর কোম্পানিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩০ একর জমি দেবে। আর প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য সরবরাহ করবে। ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে স্থাপন করা এই কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১৮ দশমিক ২৯৫ টাকায় কেনা হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
চুক্তিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ ও সিএমইসির উপমহাব্যবস্থাপক ওয়াং পেংফেই স্বাক্ষর করেন। বাস্তবায়ন চুক্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে যুগ্ম সচিব নাজমুল আবেদীন স্বাক্ষর করেন।

বিদ্যুৎসচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, সিএমইসি চেয়ারম্যান ফ্যাং ইয়ান শুই বক্তব্য দেন।