সব ব্যবসায় আছেন তাঁরা

সিলেট বিভাগে পাঁচ থেকে ছয় হাজার নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সিলেট জেলায় রয়েছেন প্রায় দুই হাজার নারী উদ্যোক্তা।

নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যায়ামাগারে ভোক্তাদের সেবা নিশ্চিত তদারকি করছেন উদ্যোক্তা নাসরিন বেগম। সম্প্রতি সিলেট নগরের সুবিধ বাজার এলাকায়আনিস মাহমুদ

দেড় দশক আগেও সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। কেবল পোশাক, পারলার ও টেইলার্সকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যেই দেখা যেত তাঁদের। দ্রুত সেই পরিস্থিতি বদলেছে। প্রায় সব ধরনের ব্যবসাতেই নারীরা যুক্ত হয়েছেন। এখন বৃহত্তর সিলেটের চার জেলায় রয়েছেন হাজারো নারী উদ্যোক্তা। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের বাইরে আরও অন্তত কয়েক হাজার নারী বাসাবাড়িতে থেকে অনলাইনকেন্দ্রিক ব্যবসাও করছেন।

স্থানীয় প্রশাসন, উইমেন চেম্বার ও নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের চার জেলায় কী পরিমাণ নারী ব্যবসায়ী কিংবা উদ্যোক্তা রয়েছেন, এর সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য কারও সংগ্রহে নেই। তবে এ সংখ্যা কমবেশি পাঁচ থেকে ছয় হাজার হতে পারে। তাঁরা নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। এর মধ্যে রেস্তোরাঁ, পোশাক ও বুটিকস, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প, পারলার ও টেইলার্স, ক্যাটারিং, আইটি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, চিকিৎসা উপকরণ বিক্রি, ঠিকাদারি, ফ্রি-ল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এবং খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা উল্লেখযোগ্য। যদিও তাঁদের চলার পথে সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানা বাধা আছে। এরপরও পুরুষদের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়ে ব্যবসায় এগিয়ে চলছেন সিলেটের নারীরা।

একাধিক উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, গত দেড় দশকের ব্যবধানে সিলেটে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বেড়েছে। ফলে স্থানীয়ভাবে নারীদের কর্মসংস্থানও বাড়ছে। এতে উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি অন্য নারীদের রোজগারের পথ চওড়া হয়েছে। এ খাতকে উৎসাহিত করা গেলে নারীদের হাত ধরে সিলেটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও ধীরে ধীরে আরও বদলে যাবে। নারী ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্তত কয়েক শ নারী এরই মধ্যে সিলেটের ব্যবসা ক্ষেত্রে নিজেদের পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন।

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নারী উদ্যোক্তা সাব–কমিটির সদস্য শাকেরা সুলতানা জান্নাত বলেন, সিলেট বিভাগে পাঁচ থেকে ছয় হাজার নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় রয়েছেন প্রায় দুই হাজার নারী উদ্যোক্তা।

একাধিক নারী ব্যবসায়ীর বিশ্লেষণ, প্রায়ই দেখা যায় কোনো নারী যখন ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, তখন শুরুতেই তাঁকে পারিবারিক নেতিবাচক বাধার মুখে পড়তে হয়। এরপর সামাজিক কুসংস্কার ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা এবং পুঁজি সংকটের বিষয়টিও মোকাবিলা করতে হয়। পাশাপাশি নারীদের ব্যাংক ও পাইকারি বাজারসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে যোগাযোগের অপর্যাপ্ততাও একটা বড় বাধা। তবে এসব বাধা অতিক্রম করে সিলেটের নারীরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। পিছপা হচ্ছেন না তাঁরা। উঠছেন অগ্রগতির সোপানে। এ অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত করতে সরকারিভাবে নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবা বিপণন এবং বাজারজাতকরণের জন্য আরও নারীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন।

সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায় বলেন, তাঁর চেম্বারের বর্তমান সদস্যসংখ্যা ১৮০ জন। এখানে নারীদের ব্যবসায়িক পথচলায় অনেক বাধা আছে। পারিবারিক ও সামাজিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি অনেক নারীর পুঁজির সংকটও আছে। অনেক সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নারীরা রাতের বেলা বাসায় ফিরতেও অনিরাপদ বোধ করেন। তবু সেই বাধা অতিক্রম করে চলেছেন নারীরা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাধাকে তুচ্ছ করে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন।

স্বর্ণলতা রায় আরও বলেন, বন্ধুর পথ অতিক্রম করে নারীদের অগ্রগতির যাত্রাও অব্যাহত রয়েছে। সরকার নানাভাবে নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে, এটা সত্য। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিতের ওপর সরকার জোর দিয়েছে। তবে আরও আরও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন। নারীদের ব্যবসাক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে সরকারিভাবে উন্নত প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যেতে পারে। কীভাবে একজন নারী সহজে ব্যাংকঋণ পেতে পারেন, সে সম্পর্কে ধারণা দিতেও একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে।

ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা নাসরিন বেগম (৩১)। স্বামী কাজল রহমান, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার। ২০০৬ সালে নাসরিনের বিয়ে হয়। গৃহিণী নাসরিন বিয়ের পর স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করেন। স্বামীও তাঁকে বেশ উৎসাহ দেন।

২০১৫ সালে এসে নাসরিন বেগম সুবিদবাজার এলাকায় চালু করেন ‘লেডি ফিট সিলেট’ নামের একটা প্রতিষ্ঠান। নারীদের ব্যায়ামাগারকে শুরুতে এলাকার অনেকে ভালোভাবে নেননি। তবে নাসরিন এতে দমে যাননি। নাসরিন বেগম বলেন, এখন করোনা পরিস্থিতির পর নতুনভাবে সবাই জানলেন, শারীরিক সুস্থতাই সব রোগব্যাধি থেকে দূরে রাখতে পারে। তাই সবাই এখন মনে করছেন, এমন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন আছে। এ জিম চালুর পাশাপাশি তিনি ‘নাসরিন কালেকশন’ নামের একটা কাপড়ের দোকানেরও স্বত্বাধিকারী। এখানে নারীদের পোশাক থেকে শুরু করে তাঁদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় পণ্য বিক্রি হয়। এ প্রতিষ্ঠানের অবস্থানও নগরের সুবিদবাজার এলাকায়।

নাসরিন জানান, নারীরা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে জিমে আসছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন বেলা দুইটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত দুই ব্যাচে মেডিটেশন, ইয়োগা, অ্যারোবিক ব্যায়ামসহ শরীর সুস্থ রাখার নানা শারীরিক কসরত চলে। প্রতিদিন ১০০ নারী এখানে সেবা নেন।

সিলেট নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা ওয়াহিদা আখলাক (৩৭) ‘একনজর হোম মেইড ফুড প্রোডাক্টস’ নামের একটা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। সম্প্রতি আখালিয়া এলাকায় তিনি চালু করেছেন ‘সপ্তডিঙা বুটিক অ্যান্ড টেইলার্স’ নামের আরেকটা প্রতিষ্ঠান। আছে ক্যাটারিং ব্যবসাও। মা, দুই ভাইয়ের পরিবার ও এক বোনকে নিয়ে তাঁদের যৌথ সংসার। ওয়াহিদা জানান, তিনি স্বাধীনচেতা নারী। কারও অধীনে চাকরি করবেন না ভেবেই ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। এখন তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০ জন কর্মী কাজ করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘রসনা আচার’, বিস্কুট, চকলেটসহ নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রীর সুনাম তৈরি হয়েছে।

ঢাকার খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা তাসনিম আক্তার (৩৬)। রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে বিবিএস পাস করেন। ২০০৫ সালে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. জানে আলমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামীর চাকরির সুবাদেই বিয়ের পর সিলেটে চলে আসেন। ব্যয়বহুল শহর সিলেটে স্বামীর একার আয়ে সংসার চালানো একটু কঠিনই হয়ে যাচ্ছিল। পরিবারের সচ্ছলতা বাড়াতে টিউশনি শুরু করেন তাসনিম। তাতেও যখন সচ্ছলতা আসছিল না, তখন তিনি ব্যবসায়ে যুক্ত হন। ছাত্রাবস্থাতেই ফ্যাশনের প্রতি দুর্বলতা ছিল। বিয়ের আগে বাটিক, ব্লকসহ কাপড়ে নকশা তৈরির কাজ করতেন। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০১৫ সালে সিলেট নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় চালু করেন ‘মেঘালয় ফ্যাশন’।

ঠিকাদার লুবনা (বঁায়ে), উদ্যোক্তা সালসাবিলা (ওপরে) ও তাসনিম (নিচে)
ছবি: প্রথম আলো

তাসনিম আক্তার জানান, তাঁর মেয়ের গৃহশিক্ষকের উৎসাহে যৌথভাবে তাঁরা জামালপুর থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বুটিকসের থ্রিপিস পাইকারি দরে কিনে পরিচিতজনদের কাছে খুচরা বিক্রি করেছিলেন। তখন তাঁদের ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। এরপর স্বামী তাঁকে ব্যবসার জন্য ৭ হাজার টাকা দেন। সে টাকা দিয়ে তিনি কাপড় কিনে নিজের নকশায় থ্রিপিস, ওয়ান পিস তৈরি করে ১২ হাজার টাকা লাভ করেন। ২০১৪ সালে সিলেটে তিনি নারী উদ্যোক্তাদের একটি মেলায় অংশ নেন। পরে ২০১৫ সালে তাঁর স্বামী ৩ লাখ টাকা খরচ করে ‘মেঘালয় ফ্যাশন’ তৈরি করে দেন। এখন এটি সুপরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর এখানে ২০ জনের কর্মসংস্থানও হয়েছে।

তাসনিম আক্তার বলেন, ‘যখন আমি উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করি, তখন সিলেটে এখনকার মতো এত নারী উদ্যোক্তা ছিলেন না। ফলে প্রতি পদে পদে আমাদের নানা ধরনের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে। মানুষজন আমার ব্যবসা করাটাকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতেন। নানা বাধা অতিক্রম করে নিজের প্রতিষ্ঠানটিকে দাঁড় করিয়েছি। ২০১৬ সালে অনলাইনেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছি। আমার প্রতিষ্ঠান থেকে নিজের নকশা করা পোশাক এখন লোক মারফত যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিয়মিত কিনছেন।’

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় লুবানা ইয়াসমিনের (৩৩) বিয়ে হয় ২০০৪ সালে। তাঁর স্বামী মো. মামুনুর রশীদ বকস একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। ২০১১ সালে সন্তানদের পড়াশোনা করানোর উদ্দেশ্যে সিলেট শহরে আসেন। এখন তাঁদের বাসা সুবিদবাজারের নূরানী এলাকায়। উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যাওয়ায় পড়াশোনা আর এগোয়নি। পরে যখন সিলেটে আসেন, তখন স্বামীর উৎসাহে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পাস করেন। এ সময়টাতেই তিনি স্বামীর ঠিকাদারি কাজে গিয়ে এটা-ওটা জিজ্ঞেস করতেন। তাঁর মনে ঠিকাদার হওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগে। স্বামীকে এ কথা জানালে নিরুৎসাহিত করে বলেন, ‘এটা কঠিন কাজ! এগুলো পারবে না।’ মূলত স্বামীর এ কথায় লুবানার মনে জেদ চাপে। জেদ থেকেই লুবানা ঠিকাদারি পেশায় যুক্ত হন। যদিও স্বামী প্রথমে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু ঠিকাদারিতে যুক্ত হওয়ার জন্য তাঁর সহায়তা ছিল।

২০১৬ সালে লুবানা ঠিকাদার হিসেবে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করেন। ধীরে ধীরে তাঁর সুনাম বাড়ে। এখন তিনি সিলেটের একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। সুবিদবাজার এলাকায় তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে। সিটি করপোরেশন, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করছেন। হয়েছেন শ্রেষ্ঠ করদাতাও। লুবানা বলেন, ‘যখন ঠিকাদারি শুরু করি, তখন আমার আত্মীয়স্বজন সবাই বলেছিলেন, নারী হিসেবে নাকি এ পেশায় বেশি এগোতে পারব না। কিন্তু নারীরা যে চ্যালেঞ্জিং পেশায়ও সফল হতে পারেন, সেটা নিজেকে দিয়েই বুঝতে পারছি।’

সালসাবিলা মাহবুব (৩১) ওরফে সাবিলা কান্তা সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পাস করে অর্গানিক খাদ্য বা জৈব্য খাদ্যের দোকান চালু করছেন। নাম ‘গ্রেইন্স অ্যান্ড গ্রিন’। নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় ২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর তাঁর প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। এখানে কেবল দেশীয় খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয়। ঢেঁকিছাঁটা চাল, লাল চাল, বিরুন চাল, ঢেঁকিছাঁটা চিড়া, লাল চিনি, হাতে প্রস্তুতকৃত মুড়ি, ঘানিভাঙা সরিষা তেল, দেশি মোরগের ডিম, চালের গুঁড়া, লাল আটাসহ নানা দেশীয় পণ্য তাঁর দোকানে বিক্রি হয়।

সালসাবিলা জানান, এমবিএ পাস করার পর তিনি যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো চাকরি পাচ্ছিলেন না। তাই নিজেই সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। ২০১৭ সালে ব্যবসায়ী সৈয়দ রাহাতের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনও এখন তাঁর ব্যবসাসংক্রান্ত বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা বিপাকে পড়লেও এখন তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দোকানে পণ্য বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনে যাঁরা পণ্য কেনার ফরমাশ দেন, তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বাসায় পৌঁছেও দেওয়ার ব্যবস্থাও তাঁদের রয়েছে।