সব হাসপাতালে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা থাকতে হবে: জাফরুল্লাহ

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিদের অবস্থা পরিদর্শনে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর
ছবি: সংগৃহীত

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দেশের সব হাসপাতালে ব্যবস্থা থাকতে হবে।

আজ রোববার ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লার বায়তুল সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে এসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, অব্যবস্থাপনার জন্যই দেশে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনার কথা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোনো দুর্ঘটনা হলে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়া উচিত। নারায়ণগঞ্জেই যদি এই রোগীরা প্রাথমিক চিকিৎসা পেতেন, তাহলে এতজন মারা যেতেন না।

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লার বায়তুল সালাত জামে মসজিদে গত শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন অর্ধশতাধিক মুসল্লি। তাঁদের মধ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর দগ্ধ ১৪ জন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি ব্যক্তিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নারায়ণগঞ্জের মতো বড় শহরে ভালো চিকিৎসাসুবিধা না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের সব হাসপাতালে পোড়া রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকতে হবে। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট করছে। কিন্তু কিছু একটা ঘটলেই এখন ঢাকায় আসতে হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় বার্ন ইউনিট থাকতে হবে। এটা আইসিইউর চেয়েও বেশি দরকার। এ ছাড়া সব চিকিৎসককে পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত বলে মত দেন তিনি।

পোড়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ওষুধের সরবরাহ ও সহজলভ্যতা কম বলে উল্লেখ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, এখানে নার্স, চিকিৎসকেরা অনেক যত্ন নিয়ে রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন। কিন্তু যথেষ্ট ওষুধ নেই। এত বড় হাসপাতালে ৩০ হাজার ইনজেকশনের অনুমতি থাকতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অব্যবস্থাপনার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে; দেশে সুশাসন না থাকলে যা হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে পুনরায় এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।