সবজির দাম বেড়েছে

ফাইল ছবি

চাল, ডাল ও সয়াবিন তেলের দাম দুই সপ্তাহ ধরেই বাড়তি। ব্রয়লার ও সোনালিকা (কক) মুরগির দামও দফায় দফায় বাড়ছে। বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না চিনি। এমন পরিস্থিতিতে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের সংকট আরও বেড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর টাউন হল কাঁচাবাজার, গুলশান-১ কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে গোল বেগুন, ছোট করলা, শসা, বরবটি ও চিচিঙ্গা ৭৫-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এসব সবজি ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

বেড়েছে ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স, ধুন্দুল, লম্বা বেগুন ও লম্বা করলার দামও। গত সপ্তাহে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া এসব সবজি এখন ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন সবজি বিক্রেতারা। এ ছাড়া বাজারে আসা আগাম শিমের দাম ১২০-১৪০ টাকা। পাশাপাশি কাঁচা মরিচের ঝাঁজ আবার কিছুটা বেড়েছে। গতকাল কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সবজি বিক্রেতা আবু নাঈম বলেন, বছরের এই সময়ে (সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে) সবজির দাম একটু বেশি থাকে। কারণ, এই সময়ে গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন প্রায় শেষের দিকে থাকে। আবার শীতের সবজিও এই সময়টাতে বিক্রির মতো উপযুক্ত হয় না। তখন বাজারে একধরনের সংকট তৈরি হয়।

বাজারে আলু সারা বছর পাওয়া গেলেও এই সবজির দামও এখন বাড়ছে। গতকাল কারওয়ান বাজারের আড়তে পাইকারিতে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) আলু ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে এই পরিমাণ আলু ৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছিল।

কারওয়ান বাজারে আলুর খুচরা বিক্রেতা সাত্তার হোসেন বলেন, ‘কাঁচামালের দামের কোনো ঠিক নাই। এক দিন একটু বাড়ে, আরেক দিন একটু কমে।’

নিম্ন আয়ের মানুষ আমিষের অভাব পূরণে যে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের ডিম কেনেন, এগুলোর দামও কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি। ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম এখন ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা। ফার্মের ডিমের দাম প্রতি ডজনে ১০-১৫ টাকা বেড়ে এখন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৫৩ টাকা। পাড়া-মহল্লার দোকানে খোলা চিনি ৮০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৪-৮৬ টাকা।

কারওয়ান বাজারে গতকাল পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী আকবর আলী বলেন, এ রকম চলতে থাকলে সংসার কীভাবে চালাবেন, বুঝতে পারছেন না।