সম্মাননা পেলেন 'কসাই' জমিলা

অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী হিসেবে জয়িতা সম্মাননা নিচ্ছেন জমিলা বেগম। গত সোমবার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে।  ছবি: প্রথম আলো
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী হিসেবে জয়িতা সম্মাননা নিচ্ছেন জমিলা বেগম। গত সোমবার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে। ছবি: প্রথম আলো

প্রায় কুড়ি বছর ধরে কসাইয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি এলাকার জমিলা বেগম (৪৭)। এতে অর্থনৈতিকভাবে সফলতাও পেয়েছেন তিনি। এবার এর স্বীকৃতি পেলেন তিনি। অর্থনৈতিকভাবে সফল ক্যাটাগরিতে জয়িতা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

গত সোমবার আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে আরও চার জয়িতার সঙ্গে সংবর্ধনা দেওয়া হয় জমিলাকে। জেলা প্রশাসন ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জমিলাকে নিয়ে গত ২২ জুলাই প্রথম আলোয় ‘জনপ্রিয় “কসাই” জমিলা’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সম্মাননা পেয়ে জমিলা বেগম বলেন, ‘আজ আমি সার্থক। খুব ভালো লাগছে। যখন প্রথম ব্যবসা শুরু করি, কত লোকের কত কথা শুনতে হয়েছে আমাকে। কিন্তু কেউ একটি টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেনি। আজ অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে আমার দোকানে মাংস কিনতে আসেন। মুঠোফোনে আমার খোঁজখবর নেন। এই ধরনের সম্মাননা পাব কখনো ভাবিনি।’

গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জয়িতা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সানিউল ফেরদৌস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সাংসদ জাকিয়া তাবাসসুম।

অনুষ্ঠানে জাকিয়া বলেন, ‘দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। এই নারীদের অবহেলিত করে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারী নির্যাতন বন্ধ করে তাঁদের শিক্ষিত ও সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। বেগম রোকেয়ার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নারীদের আরও বেশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে হবে।’

জমিলা ছাড়াও জয়িতা সম্মাননা পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে সফলতা অর্জনকারী বিরামপুর উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার মোছা. শরিফা পারভীন, সফল জননী হিসেবে ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকিপুর গ্রামের বার্থলোমেয়া সরেন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে নতুন জীবন শুরু করা খানসামা উপজেলার দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকার মুক্তারিনা বেগম, সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখা চিরিরবন্দর উপজেলার খেরকাঠি গ্রামের রাজিয়া সুলতানা।