সহাবস্থানের দাবি জানাতে গিয়ে মারধরের শিকার কোটা আন্দোলনের নেতা

বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিতে গিয়ে আজ সোমবার মারধরের শিকার হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এসব দাবির মধ্যে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে করা এবং ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করা।

হাসান আল মামুন মারধরের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন। তবে ছাত্রলীগ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

হাসান আল মামুন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গ্রন্থাগার চত্বরে চা খেয়ে তিনি গ্রন্থাগারে প্রবেশ করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র রাইসুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মী তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ডাকসু নির্বাচনে তাঁদের অংশগ্রহণের খবরে ভয় পেয়ে ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মামুন।

প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেলে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

মারধরের ঘটনার পর বেলা একটার দিকে প্রক্টর কার্যালয়ে গিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর কাছে ঘটনার বিচার দাবি করেন হাসান আল মামুনসহ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক, রাশেদ খান ও সোহরাব হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্ট ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা। ঘণ্টাখানেক প্রক্টরের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা চলে। প্রক্টর তাঁদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।

হাসান আল মামুন যার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন সেই রাইসুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মারধরের এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সনজিৎ প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে সময়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, রাইসুল তখন আমার সঙ্গে মধুর ক্যানটিনে ছিল। এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নন।’