সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার মামলার রায় পেছাল

সাংবাদিক প্রবীর শিকদার
ফাইল ছবি

সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েছে। ১১ এপ্রিল রায় ঘোষণার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন মামলার রায় ঘোষণার এই তারিখ ঠিক করেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।

আজ আদালতে হাজির ছিলেন সাংবাদিক প্রবীর শিকদার।

গত ২২ মার্চ উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন (১ এপ্রিল) ধার্য করেছিলেন আদালত। এখন রায় ঘোষণার নতুন তারিখ দেওয়া হলো।

গত ২২ মার্চ আদালতে প্রবীর শিকদারের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল গনী টিটো। তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, প্রবীর সিকদার ফেসবুকে মানহানিকর কোনো পোস্ট দেননি। তিনি নির্দোষ।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামিম। তিনি যুক্তিতর্ক শুনানিতে আদালতে বলেন, প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট প্রবীর শিকদারের নামে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়।

মামলার বাদী জেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির উপদেষ্টা স্বপন পাল। মামলার পর প্রবীর শিকদারকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে কারামুক্ত হন।

মামলা ও আদালতের নথিপত্রের তথ্য বলছে, প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষে এই মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, প্রবীর শিকদার তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যাঁরা দায়ী থাকবেন’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন। শিরোনামের নিচে প্রবীর শিকদার তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন বলে তিনজনের নাম লিখেন। তার মধ্যে এক নম্বরে ছিল তৎকালীন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নাম।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, এই পোস্ট পড়ে মনে হয়েছে, প্রবীর শিকদার ইচ্ছাকৃতভাবে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্পর্কে মিথ্যা ও অসত্য লেখা লিখে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।