সাঈদীর আপিলের রায় অবিলম্বে ঘোষণার দাবি

জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ‘ফাঁসির রায়’ দ্রুত ঘোষণার দাবিতে গতকাল সোমবার মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চের কামাল পাশা সমর্থক অংশ। সমাবেশে তারা সাঈদীর ফাঁসি না হলে কঠোর অবস্থান নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
জাতীয় জাদুঘরের সামনে মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, সব যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই সরকারকে সমর্থন দেওয়া হবে। কিন্তু কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেলে তরুণ প্রজন্ম রাস্তায় এসে দাঁড়াবে।
মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন বলেন, যত দিন সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষ না হবে, তত দিন গণজাগরণ মঞ্চ ঘরে ফিরে যাবে না। একাত্তরে যেমন মানুষ নিজের তাগিদেই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তেমনি আবারও প্রয়োজন পড়লে সব মানুষ প্রতিবাদে যোগ দেবে।
কামাল পাশা চৌধুরী বলেন, সাঈদী একাত্তরে যে অপরাধ করেছেন, এর সাজা একমাত্র ফাঁসিই হতে পারে। এর অন্যথা হলে সব ধরনের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে গণজাগরণ মঞ্চ মাঠে থাকবে।
সম্প্রতি গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিভেদ দেখা দিলে এর মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ও কামাল পাশা এ দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়।
‘গৌরব ৭১’-এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে ৫০-৬০ জন উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁরা একটি মশাল মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে ঘুরে আবার শাহবাগে আসেন।