সাকা চৌধুরীকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার দাবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল মঙ্গলবার জবানবন্দি দিয়েছেন আসামিপক্ষের তৃতীয় সাক্ষী কাইয়ুম রেজা চৌধুরী। জবানবন্দিতে তিনি দাবি করেন, একাত্তরের মার্চে তিনি সাকা চৌধুরীকে তেজগাঁও বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি কাইয়ুম রেজার জবানবন্দি নেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় সাকা চৌধুরী হাজির ছিলেন। জবানবন্দিতে কাইয়ুম রেজা (৬৩) বলেন, তিনি ব্যবসা করেন। তাঁর বাবা মরহুম মোর্তজা রেজা চৌধুরী বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেমব্লির সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবার দুই শ্যালিকার সঙ্গে ফজলুর রহমান (শিল্পপতি সালমান এফ রহমানের বাবা) ও ফজলুল কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরীর বাবা) বিয়ে হয়। এ জন্য তিনি, সালমান এফ রহমান ও সাকা চৌধুরী পরস্পর খালাতো ভাই। এই সাফাই সাক্ষী বলেন, ১৯৬৬ সালে নটর ডেম কলেজে ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি, সাকা চৌধুরী ও নিজাম আহমেদ (আসামিপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী) ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একাত্তরের ২৮ মার্চ দুপুরের পর তিনি সাকা চৌধুরীর ধানমন্ডির বাড়িতে যান। সাকা চৌধুরী তাঁকে বলেন, তিনি (সাকা) পরদিন করাচি যেতে চান, তাঁকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে হবে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে বোন ফারাদি খানের বাসা থেকে দুলাভাইয়ের গাড়ি নিয়ে তিনি সাকা চৌধুরীর বাড়িতে যান এবং তাঁকে গাড়িতে তুলে তেজগাঁও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন। কাইয়ুম রেজা বলেন, একাত্তরের ৮ এপ্রিল তিনি, সালমান এফ রহমান ও নিজাম আহমেদ পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একই ফ্লাইটে করাচি যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা সালমান এফ রহমানের বাসায় ওঠেন। করাচি যাওয়ার দুই দিন পর তিনি যখন পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য বাড়ি খুঁজতে বের হন, তখন সালমান রহমানের বাড়িতে যান সাকা চৌধুরী। বাইরে থাকায় তাঁদের মধ্যে দেখা হয়নি, বাসায় ফিরে সাকা চৌধুরীর আসার কথা শোনেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা জবানবন্দি দেন কাইয়ুম রেজা চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষ আজ বুধবার তাঁকে জেরা করবে।