সাত হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে

চট্টগ্রাম নগরে কত শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে জড়িত, এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই।
শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে সরিয়ে আনতে সরকারের পাশাপাশি কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাও কাজ করছে। তাদের হিসাবে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে সাত হাজারেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত রয়েছে। সঠিক পুনর্বাসন ছাড়া এই শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে সরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উদ্যাপন পরিষদ চট্টগ্রাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি কাজ চিহ্নিত করেছে সরকার। এগুলো থেকে শিশুদের সরিয়ে আনতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য অনেক শিশু বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের ও পরিবারের পুনর্বাসন ছাড়া এটি কমানো সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উদ্যাপন পরিষদ চট্টগ্রামের সদস্যসচিব মোস্তফা কামাল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের প্রতিনিধি ইয়াসমিন পারভিন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর জেলা সংগঠক নারগিস সুলতানা, বেসরকারি সংগঠন ঘাসফুলের সহকারী পরিচালক আনজুমান লিমা, ইলমার নির্বাহী পরিচালক জেসমিন সুলতানা, মমতার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক রাজু বড়ুয়া প্রমুখ।