সাবেক সাংসদপুত্র রনিকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে

বখতিয়ার আলম রনি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত বখতিয়ার আলম রনিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

জামিন চেয়ে বখতিয়ার আলমের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বখতিয়ার আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ পিনু খানের ছেলে।

জোড়া খুনের মামলায় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ঈমাম। বিচারিক আদালতের রায়ে বখতিয়ারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

বিচারিক আদালতের বিচারক রায়ে বলেন, আসামি যে অপরাধ করেছেন, তাতে মৃত্যুদণ্ডই তাঁর একমাত্র শাস্তি হয়। তবে আসামির শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন বখতিয়ার। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল এই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

পরে বখতিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।

হাইকোর্টে বখতিয়ারের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, বখতিয়ারের জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। ফলে বখতিয়ারকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

রাজধানীর ইস্কাটনের রাস্তায় ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাতে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। বখতিয়ার নিজের গাড়িতে বসে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। গুলিতে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ১৫ এপ্রিল হাকিম ও ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান।

হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম এ ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে বখতিয়ারের গাড়ি শনাক্ত করে। পরে ৩১ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে বখতিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৫ সালের ২১ জুলাই বখতিয়ারকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৩৭ জনের মধ্যে ২৮ জন সাক্ষ্য দেন।

আরও পড়ুন