সাভারে পৃথক ঘটনায় শিশু ও যুবকের লাশ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

সাভারে পৃথক ঘটনায় এক শিশু ও একজন যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবো এলাকা থেকে মেহেদি (৬) ও সাভার পৌর এলাকার ইমান্দিপুর থেকে আনোয়ার হোসেনের (২৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ঢাকার সাভারে শিশুটিকে হত্যার অভিযোগে জসিম উদ্দিন নামের এক যুবককে আটক হয়েছে। শিশুটিকে হত্যার পর লাশ স্কুলব্যাগে ভরে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল জসিম। স্বজনদের কাছে মুক্তিপণও দাবি করেছিল। মেহেদির বাবা গোলাম কবির ও মা পারুল বেগম পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। আটক জসিম উদ্দিন তাঁদের প্রতিবেশী।

সাভার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সকালে মেহেদিকে বাসায় রেখে তাঁর মা ও বাবা কর্মস্থলে যান। সকাল ১০টার দিকে জসিমকে স্কুলব্যাগ কাঁধে করে নিয়ে যেতে দেখেন প্রতিবেশীরা। এর পর থেকে মেহেদিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে সন্দেহ হলে তাঁরা মেহেদির বাবা ও মাকে জানান। খবর পেয়ে বাবা গোলাম কবির ও মা পারুল বেগম মেহেদিকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফোন করে মেহেদিকে অপহরণের কথা জানান জসিম। ছেলেকে ফেরত পেতে একটি বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। মেহেদির পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সাভার থানাকে অবহিত করা হয়। সোমবার রাত ১১টার দিকে পাশের খাগাইন এলাকা থেকে জসিমকে আটক করা হয়।

বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব দত্ত বলেন, ক্যামেরার ফুটেজে সোমবার সন্ধ্যায় জসিমকে কুমকুমারি বাজারে বিকাশের দোকান থেকে নম্বর সংগ্রহ করতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি মেহেদিকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাকাবো এলাকার জঙ্গল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার সকালে শিশুটিতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন জসিম। এরপর স্কুলব্যাগে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেন।

সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে ইমান্দিপুর এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর চোখের নিচে ও হাতের আঙুলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, দুটি ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।