সাভারে রানা প্লাজা ধস

সাভারে রানা প্লাজা ধস
সাভারে রানা প্লাজা ধস

কেবল বাংলাদেশকেই নয়, বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনা। মানবসৃষ্ট সবচেয়ে ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের রেশ এখনো রয়ে গেছে। ঘটনার ১০০ দিন পেরিয়েছে। এখনো অনেকের সন্ধান মেলেনি। অনেকে এখনো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। গরিব পরিবারগুলো পড়েছে অর্থকষ্টে। ধুঁকছে বাংলাদেশও। এই নিয়ে আমাদের এ বিশেষ আয়োজন
২৪ এপ্রিল
সকাল নয়টায় ভবনধস। প্রথম দিনে নিহত ১২৭ শ্রমিক।
২৫ এপ্রিল
রাষ্ট্রীয় শোক পালন। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৯ জনে।
২৬ এপ্রিল
শতাধিক পোশাক কারখানা ও যানবাহন ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা। রানা প্লাজার দুই পোশাক কারখানা মালিক গ্রেপ্তার। রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিজিএমইএর বৈঠক।
২৭ এপ্রিল
আরেক পোশাক কারখানা ফ্যান্টমের মালিক আমিনুল ইসলাম গ্রেপ্তার।
২৮ এপ্রিল
দুপুরে যশোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে।
জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মারা যান পোশাক শ্রমিক শাহীনা।
রাত থেকে শুরু হয় ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্ধার অভিযান।
২৯ এপ্রিল
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেককে রাজধানীর মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার।
উদ্ধারকাজ পরির্দশনে যান প্রধানমন্ত্রী।
২ মে
সাভারের ইউএনও কবির হোসেন সরদারকে প্রত্যাহার।
বাংলাদেশ থেকে পোশাক না কেনার ঘোষণা দেয় বিশ্বখ্যাত ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ট ডিজনি।
পোশাককর্মীদের অবস্থাকে ‘ক্রীতদাসের’ সঙ্গে তুলনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
৪ মে
বাংলাদেশি পণ্য বর্জন না করতে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের প্রতি আহবান জানান আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) উপ মহাপরিচালক গিলবার্ট হুংবো।
মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫৬ জনে।
৫ মে
সোহেল রানার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০।
৭ মে
বকেয়া বেতনভাতার দাবিতে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে যায়।
৮ মে
ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ১৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ ও তিনটিকে বন্ধের নির্দেশ।
ধসে পড়া পাঁচ পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধ।
মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮১৮।
৯ মে
রানা প্লাজার চার পোশাক কারখানার ২১ পরিচালকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৯১
১০ মে
দুর্ঘটনার ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার করা হয় পোশাক শ্রমিক রেশমাকে।
মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যায়।
১২ মে
রানা প্লাজা সংক্রান্ত নথিপত্র তলব করে আদালত।
প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয় রেশমা।
মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১২৭
১৪ মে
রানা প্লাজার উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত।
২০ মে
সোহেল রানাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় সিআইডি। এর আগে তাঁকে ১৭ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ।
২৬ মে
রানাসহ ভবন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কারখানা মালিকদের সরাসরি দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সরকারি তদন্ত কমিটি।
৩০ মে
বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
২ জুন
নিখোঁজদের খোঁজে রানা প্লাজার সামনে স্বজনদের মিছিল।
৬ জুন
পোশাক শ্রমিকদের বেতনভাতা ঠিক করতে মজুরি বোর্ড গঠন।
৯ জুন
২৪ ব্যক্তিকে দায়ী করা হয় শ্রম মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে।
১৪ জুন
পোশাক কারখানার পরিবেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস।
২৭ জুন
বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় জিএসপি স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
৩০ জুন
পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও শ্রমমানের উন্নতিতে
বাংলাদেশের পাশে থাকার
ঘোষণা দেয় ইইউ।
৮ জুলাই
বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে জেনেভায় বৈঠক। কর্ম পরিবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে সময় বেঁধে দিল ইইউ।
৯ জুলাই
শ্রমিকনেতা কল্পনা আক্তার ও বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা আটটি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত।
১১ জুলাই
পোশাক কারখানা সংস্কারে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে জাপানি সাহায্য সংস্থা জাইকা।
১৫ জুলাই
বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল ২০১৩ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস ।
২০ জুলাই
অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পাওয়ার রূপরেখা
দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
২২ জুলাই
শ্রম আইনের সংশোধনীতে সন্তুষ্ট নয় বলে জানায় আইএলও।
২৪ জুলাই
জিএসপি পুনর্বহালে আগামী ডিসেম্বরে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে, জানান
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা।
২ আগস্ট
নিহত শ্রমিকদের স্মরণে রানা প্লাজার সামনে স্থায়ী শহীদ বেদি নির্মাণ