সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া খবরে আস্থা কম

অফিসের কাজের ফাঁকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ। মডেল পমি।  ছবি: সুমন ইউসুফ
অফিসের কাজের ফাঁকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ। মডেল পমি। ছবি: সুমন ইউসুফ

দেশের তরুণ–তরুণীরা সংবাদ পেতে টেলিভিশনের পরই চোখ রাখছেন ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাঁদের কাছে বেশি জনপ্রিয় হলেও এই মাধ্যম থেকে পাওয়া সংবাদে খুব একটা আস্থা পাচ্ছেন না তাঁরা।

প্রথম আলোর উদ্যোগে পেশাদার জরিপ সংস্থা ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেডের তারুণ্য জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

জরিপে অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশের বেশি তরুণ–তরুণীর বক্তব্য হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে এবং ‘ফেক নিউজ’ ছড়ায়। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে সংবাদ পেলেও তার সত্যাসত্য নিয়ে সন্দেহ আছে তাঁদের। 

জরিপে দেখা গেছে, সংবাদের উৎস হিসেবে দেশের তরুণ–তরুণীদের ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ টেলিভিশনের দ্বারস্থ হন। পুরুষ ও নারীদের মধ্যে টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা প্রায় সমান। অশিক্ষিত ও প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষিতদের মধ্যে এই নির্ভরশীলতা কিছুটা বেশি।

তরুণ–তরুণীদের পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। জরিপে অংশ নেওয়া ৫৮ শতাংশের বেশি তরুণ–তরুণীর কাছে ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সংবাদের অন্যতম উৎস। তাঁদের মধ্যে শহুরেদের প্রাধান্য কিছুটা বেশি। ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সংবাদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় অনেক এগিয়ে মেয়েরা। ৮০ শতাংশের বেশি ছেলে সংবাদ খুঁজতে ফেসবুক-ইউটিউবে চোখ রাখলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে তা অর্ধেকের কম।

Untitled-5
Untitled-5