সামিউল ও রাকিব হত্যা মামলার পেপারবুক তৈরির নির্দেশ

সিলেটের সবজিবিক্রেতা শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৪) ও খুলনার গ্যারেজ-কর্মী শিশু রাকিব (১২) হত্যা মামলার পেপারবুক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

গতকাল বুধবার হাইকোর্টের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন বিষয়ক (ডেথ রেফারেন্স) সংশ্লিষ্ট শাখাকে এই দুটি মামলায় পেপার বুক প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ।
সাব্বির ফয়েজ প্রথম আলোকে বলেন, মাননীয় প্রধান বিচারপতি এ দুটি মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করতে ডেথ রেফারেন্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে এ মামলা দুটির বিচার অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই হবে।
এর আগে ১০ নভেম্বর সামিউল ও রাকিব হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন বিষয়ক নথি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টে পৌঁছায়।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে, যখন দায়রা আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন, তখন মামলার নথি হাইকোর্ট বিভাগে জমা দিতে হয় এবং হাইকোর্ট নিশ্চিত না করা পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না। এ জন্য যেসব ফৌজদারি মামলায় আসামি মৃত্যুদণ্ডাদেশ পান, ওই মামলাগুলোকে ‘ডেথ রেফারেন্স’ বলা হয়।
অবশ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামিপক্ষের আপিল করার সুযোগ থাকে।
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অপবাদে ১৪ বছরের রাজনকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে চারজনকে গত ৮ নভেম্বর, রোববার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এ ছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন, তিনজনের সাত বছর করে এবং দুজনের এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে খালাস দেন আদালত।
একই দিনে খুলনার মহানগর দায়রা জজ আদালত ১২ বছরের রাকিবকে হত্যার দায়ে তিন আসামির মধ্যে দুজনের ফাঁসির আদেশ দেন। বাকি একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
দুটি মামলার রায়কেই বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে রায় ঘোষণার নজির হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। রাজন হত্যা মামলার কার্যক্রম শেষ হয় ১৭ কার্যদিবসে। ১০ কার্যদিবসে রাকিব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।