সামুদ্রিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে বিশেষ সফটওয়্যার দিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিকাব আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন
ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন বলেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে নিরাপত্তা সফটওয়্যার ক্রিমারিও ব্যবহার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের জবাবের অপেক্ষায় আছেন তাঁরা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিকাব আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন।

গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন বলেন, ইইউর ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে (আইপিএস) নিরাপত্তা উপাদান আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ইস্যুতে ইইউ যোগাযোগ রাখছে। নিরাপত্তা সফটওয়্যার ক্রিমারিও ব্যবহারের মাধ্যমে সমুদ্রে কী ঘটছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব। এই সফটওয়্যারের নানা রকম ব্যবহার আছে। নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড এটি ব্যবহার করতে পারবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন বলেন, নিরাপত্তা সফটওয়্যার নিয়ে বাংলাদেশের জবাবের অপেক্ষায় আছেন তাঁরা
ছবি: সংগৃহীত

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইইউর নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষানীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যোগসূত্রের বিষয়ে জানতে চান। বিষয়টি উল্লেখ করে ইইউর আইপিএস–বিষয়ক বিশেষ দূত বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর এখানে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার সুযোগ রয়েছে। সেটি আমি ব্যাখ্যা করে তাঁকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বিত চুক্তি আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি করার বিষয়টি না করার তো কোনো কারণ দেখি না।’

ইইউর ওই দূত জানান, ইইউর আইপিএসে সাতটি উপাদান আছে। এই উপাদানগুলোর সঙ্গে একমত হলে তা নিয়ে যে কোনো দেশের ইইউর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে। বাংলাদেশ সাতটি উপাদানেই কাজ করছে উল্লেখ করে গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন বলেন, ‘বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। দুই পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সুশাসন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করছে।’

ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সঞ্চালনায় আলোচনায় স্বাগত বক্তৃতা দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দীন।