সালিসের সুযোগে কিশোরীকে বিয়ে করা চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ৩০ দিন বা নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত যেটি আগে হয়, সে সময় পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

শাহিন হাওলাদারের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত বলেছেন, অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তের কাজ চলতে বাধা থাকবে না।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে সালিসের সুযোগ নিয়ে এক কিশোরীকে (১৪ বছর ২ মাস ১৪ দিন) বিয়ে করায় গত ২৯ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে শাহিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এর বৈধতা নিয়ে শাহিন হাওলাদার রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শফিক আহমেদ ও ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব শফিক ও নাজমুল হাসান রাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার।

পরে মাহবুব শফিক প্রথম আলোকে বলেন, সাময়িক বরখাস্তের দিনই (২৯ জুন) শাহিন হাওলাদারকে কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়। এ জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হয়। কারণ দর্শানোর জবাব দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার আগেই ওই দিন তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, যা আইন সমর্থন করে না। মেয়েটির বয়স ১৪ বছর বলা হয়েছে। অথচ ২০১১ সালের একটি জন্মসনদ অনুযায়ী মেয়েটির বয়স ১৮ বছর ৩ মাস। এসব দিক তুলে ধরে রিটটি করা। হাইকোর্ট সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন। ফলে শাহিন হাওলাদারের ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে আইনগত বাধা নেই।

২৫ জুন ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন ৬০ বছর বয়সী বিবাহিত চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। জানা গেছে, প্রেমের টানে বাড়িছাড়া দুই কিশোর-কিশোরীর বিষয়ে ডাকা সালিসে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার নিজেই ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন। বিয়ের এক দিন পর ওই কিশোরী শাহিন হাওলাদারকে তালাক দেয়।