সিলেটে আ.লীগের পথসভায় হাতাহাতি

সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেষ নির্বাচনী সভায় জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কিনব্রিজ এলাকা, ২৮ জুলাই। ছবি: আনিস মাহমুদ
সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেষ নির্বাচনী সভায় জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কিনব্রিজ এলাকা, ২৮ জুলাই। ছবি: আনিস মাহমুদ

সিলেটে সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের এক নির্বাচনী সভায় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরের কিন ব্রিজ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে সিলেট আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেষ নির্বাচনী পথসভাটি নগরের কিন ব্রিজ এলাকায় আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু হওয়া ওই সভা এ প্রতিবেদন লেখা (রাত সোয়া নয়টা) পর্যন্ত চলছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাত সাড়ে আটটার দিকে মঞ্চে বক্তৃতা দিতে ওঠেন সিলেট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কামরুল ইসলাম। কিন্তু কামরুল ইসলামের বক্তব্য শেষে নাম ঘোষণা না করা সত্ত্বেও মঞ্চে উঠে বক্তৃতা শুরু করেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক বহিষ্কৃত সভাপতি পংকজ পুরকায়স্থ। আর তখনই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, পংকজ পুরকায়স্থ বক্তৃতা দিতে শুরু করলে মঞ্চের নিচে থাকা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ‘না, না, না’ বলে এর প্রতিবাদ জানান এবং তাঁর দিকে মঞ্চে চেয়ার ছুড়ে মারেন। এ সময় মঞ্চের নিচে বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা চলতে থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ার ছোড়াছুড়ির সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। তখন তিনি মাইকে বলতে থাকেন, ‘আমরা এসব দুষ্ট গরু চাই না। আওয়ামী লীগ দুষ্ট গরু চায় না। যারা এসব কাজ করছে, তারা বিএনপি ও জামায়াতের দোসর। এই মুহূর্তে এ অবস্থা বন্ধ না হলে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দেব। পরে এদের সবার বিচার করা হবে।’

চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতির পর ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে পুলিশ সরিয়ে নিয়ে যায়। ছবি: আনিস মাহমুদ
চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতির পর ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে পুলিশ সরিয়ে নিয়ে যায়। ছবি: আনিস মাহমুদ

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, আহমদ হোসেনের ঘোষণার পরও পাঁচ মিনিটের মতো চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা চলতে থাকে। পরে রাত পৌনে নয়টার দিকে পরিবেশ শান্ত হয়। পুনরায় আওয়ামী লীগের পথসভার কার্যক্রম শুরু হলেও সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।