সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গ্রেপ্তার বিষয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে সিটি করপোরেশনে বিএনপির নেতা, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শক, সিলেটের পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন। সিলেটে সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি সালেহ আহমেদ খসরু গতকাল সোমবার রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মইনুল হোসেন ও আবদুল হালিম কাফি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী রানী শর্মা ও পূরবী সাহা।
আদেশের পর আবদুল হালিম কাফি প্রথম আলোকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সিলেট সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গ্রেপ্তার বিষয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে সিটি করপোরেশন এলাকায় বিএনপির কোনো নেতা, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করতে পুলিশ প্রধানসহ তিনজনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রুলে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ না করে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তৃক বিএনপির নেতা, কর্মী, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের বৈষম্যমূলক গ্রেপ্তার-হয়রানি কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সিলেটের পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সাত বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী আবদুল হালিম কাফি।
রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, ৩০ জুলাই সিটি করপোরেশন নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির নেতা-কর্মী, সমর্থক ও প্রচারকারীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যা আইনসম্মত নয় ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। এমনকি বিএনপির নেতা, সমর্থক ও নির্বাচন প্রচারকারীদের বাড়িতে গিয়েও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।