সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে জাবি ছাত্রের অনশন

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি। ছবি: সংগৃহীত
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছেন এক বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী। আরিফুল ইসলাম ওরফে আদীব নামের ওই তরুণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতকোত্তরে (৪৩ ব্যাচ) অধ্যয়নরত।

আজ শনিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে তিনি চার দফা দাবিতে এই অনশনে বসেন। আদীবের গ্রামের বাড়ি বরিশালের সদরে।

আরিফের দাবিগুলো হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সব হত্যার আন্তর্জাতিক আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা। ভারতকে সীমান্তে হত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে আর হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। সীমান্তে হত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারকে তদন্ত সাপেক্ষে দুই দেশের যৌথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জাতীয় সংসদে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করে নিন্দা জানাতে হবে।

আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসুতে হামলার সময় তিনিও ভিপি নুরুল হকের সঙ্গে আহত হন। চিকিৎসক তাঁকে তিন মাস বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। বিশ্রামের এক মাস শেষ হয়েছে, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। তবে বিবেকের তাড়না ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতায় তিনি এ প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। আরিফ বলেন, ‘আমার এই চার দফা দাবির প্রতি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আসার আগপর্যন্ত অনশন ভাঙব না।’