সীমিত পরিসরে সোমবার থেকে ভার্চ্যুয়ালি চলবে সুপ্রিম কোর্ট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে শুরু হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১২ এপ্রিল থেকে আপিল বিভাগের ১ নম্বর কোর্টে প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম চলবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এই তথ্য জানা গেছে। একই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে প্রতি সোম ও বুধবার বেলা ১১টা থেকে চেম্বার আদালত অতি জরুরি বিষয়ে শুনানি করবেন।

৪ এপ্রিল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে চলাচলে সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরদিন ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলবে বলে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানান সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, হাইকোর্ট বিভাগের চারটি বেঞ্চ এবং আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট (মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার) ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত অতি জরুরি বিষয় শুনানি করবেন।

নির্ধারিত ওই সময় আজ শেষ হয়। এ অবস্থায় আপিল বিভাগের ১ নম্বর কোর্টে সপ্তাহে তিন দিন এবং চেম্বার আদালতে দুই দিন ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে বিচারকাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত এল। সর্বশেষ ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের ১ নম্বর কক্ষে বিচারকাজ চলে।

হাইকোর্টের চার বেঞ্চেই চলবে কার্যক্রম

শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি ৫ এপ্রিল হাইকোর্টের পৃথক চারটি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন। নির্ধারিত এই সময় আজ শেষ হয়।

এ অবস্থায় আজ প্রধান বিচারপতি ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য হাইকোর্টে চারটি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। চারটি বেঞ্চের মধ্যে তিনটি দ্বৈত ও একটি একক বেঞ্চ রয়েছে। এর আগে এই বেঞ্চগুলো ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।


দ্বৈত বেঞ্চগুলো হচ্ছে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান; বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন; বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল। অপর বেঞ্চটি হচ্ছে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।