ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধানে তৃতীয় দিনের মতো ট্রলার ভাড়া করে সুগন্ধা নদীর বিভিন্ন প্রান্তে খুঁজছেন স্বজনেরা। অপর দিকে আজ রোববার সকাল থেকে বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল নদীর সম্ভাব্য স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হলেও নতুন কোনো লাশের সন্ধান মেলেনি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান ঝালকাঠিতে লঞ্চটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির অনুসন্ধান প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যায়, ‘লঞ্চে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। দুই সপ্তাহ পর আমরা একটি প্রতিবেদন দিতে পারব।’
অপর দিকে রেড ক্রিসেন্টের তালিকায় থাকা নিখোঁজ ৫১ জনের অনেক স্বজনই আজ সকাল থেকে শহরের পৌর মিনি পার্ক এলাকার সুগন্ধা নদী থেকে ট্রলার নিয়ে লাশের সন্ধানে বের হন। গত তিন দিন পর্যন্ত হারানো স্বজনদের খুঁজতে গিয়ে তাঁরা পরিশ্রান্ত ও ক্লান্ত। অনেকেই এক কাপড়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন ঝালকাঠি শহরের টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
গত শুক্রবার হাসপাতালের মর্গে স্বজনদের খুঁজে না পেয়ে অনেকে বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে নিহত ব্যক্তিদের জানাজাস্থলে ছুটে যান। সেখানেও আপনজনদের না পেয়ে তাঁরা ধরে নিয়েছেন, সুগন্ধায় ভেসে উঠতে পারে লাশ। তবে অনেকেই দল বেঁধে না খুঁজে বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে খুঁজছেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল সুগন্ধা নদীর সম্ভাব্য বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকেই অভিযান চালাচ্ছে। তবে সুগন্ধায় স্রোত থাকায় উদ্ধারকাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
ডুবুরি দলের প্রধান হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা বরিশাল থেকে আসার পথে পথে মানুষকে মুঠোফোনের নম্বর দিয়ে এসেছি। তাঁরা কোন লাশের সন্ধান পেলেই যেন আমাদের খবর দিতে পারে। তবে নদীতে লাশ থাকলে শিগগির ভেসে উঠতে পারে।’