সুনামগঞ্জ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদককে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ওরফে ইমন। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। এনামুল কবির পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক এবং সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন এনামুল কবির। সেখানে সংস্থাটির উপপরিচালক নুরুল হুদা প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁর বক্তব্য নেন।

৬ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাঁকে দুদকে হাজির হতে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে তদবির–বাণিজ্য, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য নেওয়া প্রয়োজন। দুদকে হাজির হওয়ার সময় তাঁকে নিজের ও স্ত্রী, ছেলে, মেয়েসহ তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের (যদি থাকে) ফটোকপি সঙ্গে আনতে বলা হয়।

দুপুরে সেখান থেকে বেরিয়ে এনামুল কবির সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অর্জনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি মহল দুদকে আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করেছে। আমার বাবা সুনামগঞ্জের এমপি ছিলেন। তাঁর সুনাম আছে। তাঁর ছেলে হিসেবে আমিও সততার সঙ্গে রাজনীতি করছি। বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির সংশ্লিষ্ট আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা একজন সাংবাদিকের সহায়তা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমি জানি দুদকের অনুসন্ধানে সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।’