সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য ছুটে আসেন আবিদ

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক রুহুল আবিদ ও তাঁর অলাভজনক সংস্থা হাইফা পোশাকশ্রমিক, রিকশাচালক ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করছে।

ঢাকার তেজগাঁওয়ে পোশাকশ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন হাইফার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট রহুল আবিদ (সর্ব ডানে)
ছবি: হাইফার সৌজন্যে

ঢাকা মেডিকেল কলেজের একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা থেকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটিতে শিক্ষকতা। সঙ্গে গবেষণা। ভালোই কাটছে দিনকাল। হঠাৎই সাভারের রানা প্লাজা ধস। চিরদিনের জন্য ছবির অ্যালবামে বন্দী হয়ে গেল ১ হাজার ১৪০টি তরতাজা প্রাণ। আর বসে থাকা যায় না, কিছু একটা করতেই হবে। প্রাথমিক কিছু প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাগ-বোঁচকা গুছিয়ে ১২ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে এলেন দেশে।

রানা প্লাজা ধসের তিন মাসের মধ্যে পোশাকশ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজে নেমে পড়েন রুহুল আবিদ। ঠিক আগের বছরই তিনি তাঁর বন্ধু হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক রোজমেরি বি দুদাকে নিয়ে গড়ে তোলেন অলাভজনক সংস্থা হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (হাইফা)। গত ছয় বছরে প্রায় ৩০ হাজার পোশাকশ্রমিক এবং ১ হাজার ২০০ রিকশাচালককে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক রুহুল আবিদের হাইফা। এ ছাড়া প্রায় ৯ হাজার সুবিধাবঞ্চিত নারীর জরায়ু ক্যানসার স্ক্রিনিং ও চিকিৎসাসেবা এবং কক্সবাজারে শরণার্থীদের দুই ক্যাম্পে দেড় লাখ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়কে বিনা মূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা দিয়েছে সংস্থাটি।

সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিতে রুহুল আবিদ ও তাঁর হাইফা উদ্ভাবন করেছে আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড। এটির নাম ‘নীরোগ’। আধুনিক প্রযুক্তির এই পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীর পরিচয়ের পাশাপাশি তাঁর শরীরের রোগের ইতিহাস ভবিষ্যতের জন্য সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। পাশাপাশি নির্ভুল চিকিৎসাসেবা দিতে সহায়তা করে নীরোগ। এটি বিদ্যুৎ ছাড়া সৌরশক্তি দিয়েও চালানো যায়। এমনকি ইন্টারনেট ছাড়াও কাজ করে নীরোগ।

আবিদ ও তাঁর হাইফা জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য ২০১৮ সালে গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জস কানাডার ‘স্টারস ইন গ্লোবাল হেলথ’ পুরস্কার পেয়েছে। ঝুলিতে আছে আরও কয়েকটি পুরস্কার।

বিদেশ বিভুঁইয়ে শিক্ষকতা আর গবেষণা করে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কাজ করার চিন্তা কীভাবে মাথায় ভর করল, তার সবিস্তার গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বললেন রুহুল আবিদ। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন থেকে তিনি যখন হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন সেখানে সকাল সাড়ে আটটা। ততক্ষণে বাংলাদেশে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেছে। বললেন, তাঁর সকাল হয় ভোর চারটায়।

রাজধানী ঢাকায় জন্ম ও বড় হওয়া রুহুল আবিদ পড়াশোনা করেছেন ধানমন্ডি বয়েজ স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতি করেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের (ঢামেকসু) ভিপি (১৯৮৪-৮৬) ছিলেন। ছাত্রলীগ থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। জেলও খাটতে হয়েছিল। স্বৈরশাসক এরশাদের সময়ে সাত দিন জেলে কাটানোর অভিজ্ঞতা হয় তাঁর।

এমবিবিএস শেষে ১৯৮৮ সালে রহুল আবিদ মেডিকেল অফিসার হিসেবে হবিগঞ্জের ডানকান চা-বাগানে যোগ দেন। ১০ মাসের পর তিনি চিফ মেডিকেল অফিসার হিসেবে কুলাউড়ার লংলা চা-বাগানের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে চলে যান। ঢাকায় বড় হওয়া আবিদ তখন জীবনের প্রথম সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কাছ থেকে দেখলেন। চা-শ্রমিকদের অনেকেই ভয়ে তাঁদের বাচ্চাদের টিকা দিতেন না। ফলে সামান্য অসুখে মৃত্যুর হার ছিল বেশি। মনে মনে চা-শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নতি করার তীব্র ইচ্ছাশক্তি নিয়ে কাজে লেগে পড়লেন তরুণ এই চিকিৎসক।

প্রথমে কয়েকজন চা-শ্রমিককে গর্ভকালীন জটিলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও টিকার গুরুত্ব নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন রুহুল আবিদ। তাঁরা পরে অন্য শ্রমিকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাতে লাগলেন। তিন বছরের চেষ্টায় ১০টি চা-বাগানের শ্রমিকদের ৯৭ শতাংশ বাচ্চার টিকা দিতে সক্ষম হলেন আবিদ। এর আগে চা-বাগানের টিকার হার ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। তখন বাংলাদেশে টিকার গড় হার ৬৩ শতাংশ।

১৯৯১ সালে চা-বাগানের চাকরি ছেড়ে ঢাকায় ফিরলেন রুহুল আবিদ। ১৯৯৩ সালের শুরুতে মলিকুলার বায়োলজি ও বায়োকেমিস্ট্রির ওপর পিএইচডি করতে জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। চার বছর পর পিএইচডি শেষ করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যান। ২০০৬ সালে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তার পাঁচ বছর পর ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলে সহযোগী অধ্যাপক পদে চাকরি নেন আবিদ।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের কিছু বন্ধু আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জনস্বাস্থ্য নিয়ে সেবামূলক কাজ করতেন। তখন তাঁর মাথায় ঘুরতে থাকে আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমি কেন পারব না? রুহুল আবিদ বললেন, ‘চা-বাগানের শ্রমিকদের আমি কখনোই ভুলিনি। তাদের মতো সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ সব সময়ই অনুভব করেছিলাম। সেই চিন্তা থেকেই ২০১২ সালে হাইফা গড়ে তুলি। তবে কার্যক্রম শুরু করিনি। পরের বছর রানা প্লাজা ধসের ঘটনা আমার মনে খুব দাগ কাটল। কারখানার ফাটল দেখেও যদি শ্রমিকেরা সেই ভবনে কাজ করতে পারে তাহলে তাদের অসুখের কথা কীভাবে বলবে? ফলে আর দেরি করা যাবে না ভেবে কাজে নেমে পরলাম।’

রোজমেরি বি দুদা ও নিজের মেয়ে তানায আবিদ, এমআইটির ছাত্রী নাজিয়া চৌধুরী ও হামজা জামান নামের একজন শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে দেশে আসেন রুহুল আবিদ। ঢাকা ও গাজীপুরের তিনটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে পাইলটিং করলেন। প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় শ্রমিকেরা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তস্বল্পতা, যক্ষ্মা ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার মতো শারীরিক জটিলতা ও রোগের ঝুঁকির মধ্যে আছেন কি না, তা যাচাই করা হয়। এই রোগগুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়েই হাইফা তাদের পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

ঊর্মি গ্রুপের তেজগাঁওয়ের কারখানায় পাইলটিং করেছিল হাইফা। ঊর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিনব্যাপী চিকিৎসাসেবা কর্মসূচিতে ১০৩ জন পোশাকশ্রমিকের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, যক্ষ্মাসহ ১৩টি রোগের পরীক্ষা করেন হাইফার চিকিৎসকেরা। পরবর্তী সময়ে কারখানার দেড় হাজার শ্রমিককে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ দিয়েছেন তাঁরা।’

ঊর্মি ছাড়াও সাভারের আমান গার্মেন্ট, ময়মনসিংহের ভালুকায় এনভয় টেক্সটাইল, গাজীপুরের কলাম্বিয়া গার্মেন্ট, এভান্ট গামেন্টসহ বেশ কিছু পোশাক কারখানায় বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে হাইফা। একইভাবে গুলশানের ১ হাজার ২০০ রিকশাচালককে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে তারা। সম্প্রতি কুড়িগ্রামে নারীদের জরায়ু ক্যানসার স্ক্রিনিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে হাইফা।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে হাইফার কার্যক্রম
ছবি: হাইফার সৌজন্যে

কক্সবাজারের দুটি ক্যাম্পে দেড় লাখ আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীকে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দিয়েছে রুহুল আবিদের হাইফা। আর করোনাকালে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অনলাইনে চার দিনব্যাপী ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় দক্ষতা তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংস্থাটি। এতে ঢাকা মেকিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ (আইইডিসিআর) দেশের ৩৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ১ হাজার ২০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নিয়েছেন।

কক্সবাজার থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল কুদ্দুস জানান, উখিয়ার বালুখালী ও লম্বাশিয়া শরণার্থীশিবিরে হাইফার মেডিকেল সেন্টার দুটি রয়েছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ঢল শুরুর পর সেন্টার দুটি চালু করা হয়। মেডিকেল সেন্টার দুটির তত্ত্বাবধান করেন চিকিৎসক হামিদ আজাদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিন প্রায় আড়াই শ রোহিঙ্গা শরণার্থী বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন। রোগীদের বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়। তাঁদের শারীরিক অবস্থার নিয়মিত খোঁজখবরও রাখা হচ্ছে।

লম্বাশিয়া হাইফা মেডিকেল সেন্টারে গত বুধবার চিকিৎসার জন্য আসেন লম্বাশিয়া শিবিরের এফ ব্লকের শরণার্থী ফরিদ আলম (৩৫)। তাঁর শরীরে জ্বর। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে ওষুধ দিলেন। একই শিবিরের এফ ব্লকের শরণার্থী খালেদা বেগম (২৭) ডায়াবেটিসের রোগী। তাঁর বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের উত্তরের গ্রাম ফকিরাবাজারে। ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট নাফ নদী অতিক্রম করে টেকনাফ পালিয়ে আসেন তিনি। এরপর আশ্রয় নেন এই শিবিরে। ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরে সঙ্গে থাকেন মা, স্বামী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে।

খালেদা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে আসার ছয় মাস পর লম্বাশিয়া হাইফা মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে ডায়াবেটিস রোগ ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত ওষুধ খেয়ে আসছেন। এই সেন্টার থেকেই তাঁকে বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা (হাইফা) একসঙ্গে সাত দিনের ওষুধ দেন।

বালুখালী আশ্রয়শিবিরের মাঝি (রোহিঙ্গা নেতা) জাকির হোসেন বলেন, বালুখালী ও লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবির দুটি পাহাড়ের ঢালুতে গড়ে উঠেছে। দুই শিবিরে বসবাস করে অন্তত দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। তাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য আরও বেসরকারি সংস্থা কাজ করলেও হাইফা গুরুত্ব দেয় বয়স্ক শরণার্থীদের। তারা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দেয়। বিনা মূল্যে এই দুটি রোগের ওষুধ না পেলে এত দিনে বহু রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃত্যু হতো।

চলুন আবার হাইফার মূল কান্ডারি রুহুল আবিদের কথায় ফিরি। আবিদ যুক্তরাষ্ট্রে বসে বসে হাইফার বিশাল কাজ সামলাচ্ছেন তেমনটি ভাবার সুযোগ নেই। শিক্ষকতা ও গবেষণা সামলে তিন-চার মাস পরপর হাইপার কাজে তিনি দেশে ছুটে আসেন। গত জানুয়ারিতে কুড়িগ্রামের তিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও ধাত্রীদের জরায়ু মুখের ক্যানসার নির্ণয়ে প্রশিক্ষণ দেন। করোনার কারণে কয়েক মাস ধরে আসা হচ্ছে না।

স্ত্রী তাহাম্মা আবিদ এবং দুই সন্তান ফয়সাল আবিদ ও তানায আবিদকে নিয়ে রহুল আবিদের সংসার। রবীন্দ্রসংগীত ভালোবাসেন। বন্ধুদের আবদারে ঘরোয়া আড্ডায় মাঝেমধ্যে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে শোনান। যুক্তরাষ্ট্রে কিংবা বাংলাদেশ যেখানে থাকেন, বাঙালি খাবার তাঁর প্রথম পছন্দ। ছোট মাছ ও টাকটা শাকসবজি তৃপ্ত করে খান। ইলিশের কথা জিজ্ঞেস করতেই বললেন, ইলিশ তো সব বাঙালিরই পছন্দ।

রুহুল আবিদ স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের বছরে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। দরিদ্র মানুষ বিনা মূল্যে সেবাটি পাবেন। নিয়মিত কাজটি করা গেলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু এড়ানো যাবে। সে জন্য হাইফা কাজ করছে। দুই তিন বছরের মধ্যে একটি জেলায় পাইলটিং করা গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব। হাইফা উদ্ভাবিত নীরোগ ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড ব্যবহার করে বিশাল কর্মযজ্ঞটি সহজেই করা যাবে। সরকারও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে জানালেন রুহুল আবিদ।