সুযোগ পেয়েও অনিশ্চয়তা

বাবা-মায়ের সঙ্গে নিজ বাড়িতে তানজিনা  প্রথম আলো
বাবা-মায়ের সঙ্গে নিজ বাড়িতে তানজিনা প্রথম আলো

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম রঘুনাথপুর মহল্লার মো. তসলিমউদ্দীন! চা বিক্রি করে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর মেয়ে তানজিনা এবার মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ৫৮তম স্থান অধিকার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছেন।
এতে খুশি হলেও মেয়ের পড়াশোনা ও ভর্তির খরচ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তসলিমউদ্দীন।
তসলিমউদ্দীনের দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে তানজিনা সবার বড়। ১০ অক্টোবর তাঁদের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তসলিমউদ্দীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গরিবের বাড়িতে ডাক্তার হবে এটা কী কম ব্যাপার! আল্লাহ আমাদের আশা পূরণ করেছেন। কিন্তু বাড়ির ভিটে ছাড়া আমার তো আর কিছু নেই। মেয়েটাকে পড়াতে এত টাকা আমি কোথায় পাব?’ তানজিনার মা রেহেনা বেগম বলেন, ‘মায়ের সম্পত্তির ভাগ থেকে ১৭ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। তানজিনাকে ওই টাকা দিয়ে রংপুরে কোচিং করিয়েছি। এখন হাতে কোনো টাকা নাই।’
তানজিনা অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি এবং এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়েছেন। তানজিনা বলেন, ‘স্কুলের পরীক্ষায় “জীবনের লক্ষ্য” নিয়ে রচনায় লিখেছিলাম চিকিৎসক হয়ে বিনা টাকায় অবহেলিত মানুষের চিকিৎসা করব। এত প্রতিযোগিতার মধ্যে একদিন ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাব সেটা নিশ্চিত ছিলাম না।’