‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ’–এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২১’–এর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আইএসপিআর

ঢাকা সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২১’–এর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে পর্ষদের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির লক্ষ্যে ছয় দিনব্যাপী এ পর্ষদের কার্যক্রম আজ শুরু হলো। এ পর্ষদের মাধ্যমে কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং লে. কর্নেল থেকে কর্নেল পদবিতে পদোন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত এ পর্ষদের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য যোগ্য ও দক্ষ অফিসারেরা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পদোন্নতি পাবেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২১ একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বর্তমান সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং সশস্ত্র বাহিনীতে নারীর ক্ষমতায়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে বলেন, সেনাবাহিনীর যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের নিবিড় পরিচর্যায় এই বাহিনী দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অত্যন্ত পেশাদার এবং দক্ষ একটি বাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের যেকোনো দুর্যোগের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রায় সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা, আধুনিকতা ও পেশাদারি বজায় রেখে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই বাহিনীর ভাবমূর্তি যাতে বজায় রাখতে পারে, সেই লক্ষ্যে যোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করতে উপদেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পদোন্নতির ক্ষেত্রে অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, আনুগত্য, শৃঙ্খলার মান ও নেতৃত্বের গুণাবলি এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। যোগ্য নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের যেকোনো প্রয়োজনে বরাবরের মতো সব সময় জনগণের পাশে এসে দাঁড়াবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। চলমান কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে যে ভূমিকা পালন করছে, তার প্রশংসা করেন এবং এই আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।